আল্লাহ বলেন, তোমরা আমার নিকট দো’আ কর, আমি তোমাদের দো’আ কবুল করব’ (সূরা মুমিন ৬০)।
নবী করীম (ছাঃ) বলেন,
“কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি আল্লাহর নিকট দো’আ করে এবং সে দো’আর মধ্যে পাপ ও আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা না থাকে, তবে আল্লাহ উক্ত দো’আর বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোন একটি দান করেন। ১- তার দো’আ দ্রুত কবুল করেন অথবা ২- তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদানের জন্য জমা রাখেন অথবা ৩- তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূরীভূত করেন। একথা শুনে ছাহাবীগণ বললেন, তাহ’লে আমরা বেশী বেশী দো’আ করব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আল্লাহ আরও বেশী দো’আ কবুলকারী” (আহমাদ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২১৫২)।
উপরোক্ত দুইটা হাদিস দ্বারা খুব সহজেই অনুমান করা যায় দোয়ার বিশেষত্ব। তাই মানব জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে দোয়া করা উত্তম। এ জন্যে আজকে নিয়ে আসলাম আয়না দেখার দোয়া। আয়না দেখার সময় নিচের দোয়াটি পড়তে হয় এবং আল্লাহর প্রশংসা করা উচিত।
আয়না দেখার দোয়া
আয়না দেখার সময় যে দোয়াটি পড়তে হয় সেটি হলো আয়না দেখার দোয়া, তাহলে চলুন দেখে নেই আয়না দেখার দোয়াটি।
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা হাস্সান্তা খালক্বী ফাআহসিন খুলূক্বী।
বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছ, তুমি আমার চরিত্র সুন্দর করে দাও’ । আহমাদ, মিশকাত, হা/৫০৯৯
রিলেটেডঃ নারীরা স্বপ্নে সাপ দেখলে কি হয়
দোয়া করার আদব বা বৈশিষ্ট্য
দোয়া করার কিছু আদব বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা পালন করা আবশ্যক । যেমন-
(১) হারাম খাওয়া, পান করা ও পরিধান করা হ’তে বিরত থাকা: রাসূলুল্লাহ (বাঃ) বলেন, ‘খাদ্য, পানি ও পোষাক হারাম হ’লে দো’আ কবুল হয় না’ (মুসলিম, মিশকাত, হা/২৭৬০; ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)।
(২) খালেছ নিয়তে অর্থাৎ অন্তরে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে একনিষ্ঠভাবে দো’আ করা: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, “নিশ্চয়ই কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১)।
(৩) নেক আমল পেশ করে দো’আ করা: তিনজন লোক এক গুহায় আটকা পড়লে তারা তাদের নিজ নিজ সৎ আমল আল্লাহ্র নিকট পেশ করে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৩৮,‘সৎ আমল ও সদাচরণ’ অনুচ্ছেদ, ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়)।
(৪) ওযূ করে দো’আ করা: আবু মূসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা পানি নিয়ে ওযূ করলেন এবং হাত তুলে দো’আ করলেন (বুখারী হা/৬৩৮৩; ফাৎহুল বারী, ১১/১৮৭ পৃঃ, ‘দো’আ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ- ৪১)।
(৫) ক্বিবলামুখী হয়ে দো’আ করা: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দো’আ করার ইচ্ছা করলে ক্বিবলামুখী হয়ে দো’আ করতেন’ (বুখারী হা/৬৩৪৩; ফাৎহুল বারী, ১১শ খণ্ড, পৃঃ ১৪৪, ‘দো’আ’ অধ্যায়)।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখা আয়না দেখার দোয়া, যদি লেখাটি ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবে না।