Skip to content

ঘুমানোর দোয়া বাংলায় ও আরবিতে | ২০২৪

ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ

দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালার যত ধরনের নিয়ামত আছে ঘুম হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিন দিয়েছেন দুনিয়ার নানান ধরনের কাজ করার জন্যে এবং রাত দিয়েছেন শরীরকে বিশ্রামের জন্যে, এবং ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীরে আবার নতুনভাবে কাজ করার তাগিদ জাগে।

তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিছানায় যাওয়ার পর ঘুম আসে না, আবার অনেকে ঘুমের মধ্যে নানান ধরনের স্বপ্ন দেখেন, কারো ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় ইত্যাদি নানান সমস্যার কারণে ঠিকমতো ঘুম হয় না। তবে ঘুমানোর আগের আমল, ঘুমানোর আগে ও পরের দোয়া পাঠ করলে অনেকাংশে এসব সমস্যা চলে যায়।

আজকের লেখাটা ঘুমানোর দোয়া নিয়ে। আমরা এই লেখাতে জানবো ঘুমানোর বাংলা দোয়া, আরবী দোয়া, এর বাংলা অর্থ ও আরবী উচ্ছারণ। তাহলে দেরী না করে চলুন দেখে নেই ঘুমানোর দোয়াগুলি।

ঘুমানোর দোয়া

ঘুম নিয়ে রয়েছে অনেকগুলি হাদিস ও দোয়া, চলুন দেখে নেই ঘুমানোর আগের দোয়া ও হাদিস, এর অর্থ ও ফজিলত।

(১) 

আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন রাতে শয্যায় যেতেন, তখন তাঁর দু’হাত একত্রিত করে হাতে ফুঁ দিতেন এবং সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস পড়তেন। অতঃপর দু’হাত দ্বারা যতদূর সম্ভব শরীর মুছে ফেলতেন। মাথা, মুখ ও শরীরের সম্মুখভাগ মুছতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৮৬ পৃঃ, হা/২১৩২ ‘কুরআনের ফযীলত সমূহ’ অধ্যায়)।

(২) 

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, যদি কেউ শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করে, তাহ’লে শয়তান তার নিকটবর্তী হবে না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৮৫ পৃঃ, হা/২১২৩)।

(৩) 

আবু মাস’ঊদ আনছারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে কেউ রাতে সূরা বাক্বারাহ্ শেষ দু’আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য আয়াত দু’টিই যথেষ্ট হবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ১৮৫ পৃঃ, হা/২১২৫)। অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি সারা রাত বিপদমুক্ত থাকবে। (৪) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূরা ‘আলিফ লাম তানযীল (সাজদাহ)’ এবং সূরা ‘তাবারাকাল্লাযী (মুলক)’ পড়ে নিদ্রা যেতেন (আহমাদ, তিরমিযী, সনদ ছহীহ হা/৩০৬৬; মিশকাত হা/২১৫৫)।

(৫) 

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ বিছানায় শুতে যায়, তখন সে যেন বলে,

বাংলা উচ্চারণঃ বিইস্মিকা রব্বী ওয়ায়—তু জাম্বী ওয়া বিকা আফা’উহু ফাইন আম্‌সাক্তা নাফসী ফার্হাম্‌হা ওয়া ইন আসা তাহা- ফা:ফা:হা- বিমা- তাহ্:ফা: বিহী ‘ইবাদাকাস্ স্ব-লিহীন ।

বাংলা অর্থঃ ‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার নামে আমার পার্শ্ব রাখলাম এবং তোমার নামেই তা উঠাব। যদি তুমি আমার আত্মাকে রেখে দাও, তবে তার প্রতি দয়া কর। আর যদি তাকে ফেরৎ দাও, তাহ’লে তার প্রতি লক্ষ্য কর, যেমনভাবে লক্ষ্য কর তুমি তোমার নেক বান্দাদের প্রতি’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, পৃঃ ২০৮, হা/২৩৮৪ ‘সকাল-সন্ধ্যায় পঠিত দো’আ’ অনুচ্ছেদ)।

ঘুমানোর দোয়া - ৫
ঘুমানোর দোয়া – ৫

(৬) 

বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন শয্যায় যেতেন তখন ডান পার্শ্বের উপর শয়ন করতেন। অতঃপর বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা আলামতু নাফ্‌সী ইলাইকা ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াহী ইলাইকা ওয়া ফাওওয়ায়তু আমরী ইলায়কা ওয়ালজা’তু য:হরী ইলাইকা রগ্‌বাতাঁ ওয়া রবাতান ইলাইকা লা-মাজাআ ওয়া লা-মাংজা মিংকা ইল্লা- ইলাইকা আ- মাংতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আংঝালতা ওয়া বিনাবিইয়িকাল্লাযী আসালতা ।

বাংলা অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি নিজেকে তোমার নিকট সমর্পণ করলাম। আমি তোমার দিকে মুখ ফিরালাম, আমার কাজ তোমার নিকট ন্যস্ত করলাম, আমার পৃষ্ঠদেশকে তোমার দিকেই ঝুকিয়ে দিলাম আগ্রহে ও ভয়ে। তোমার সাহায্যের প্রতি ভরসা করলাম। একমাত্র তোমার নিকট ব্যতীত কোন আশ্রয়স্থল নেই। আমি তোমার অবতীর্ণ কিতাবকে বিশ্বাস করি। আর ঐ নবীকে বিশ্বাস করি, যাকে তুমি নবী হিসাবে পাঠিয়েছ’। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ যদি এ দো’আ পাঠ করে তারপর রাতে মৃত্যুবরণ করে, সে ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ২০৯ পৃঃ, হা/২৩৮৫)।

ঘুমানোর দোয়া - ৬
ঘুমানোর দোয়া – ৬

(৭) 

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন বিছানায় যেতেন তখন বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ আল্‌হাম্‌দুলিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানা- ওয়া সাক্বানা ওয়া কাফা-না ওয়া আওয়া-না- ফাকাম মিম্‌মান লা- কা-ফিইয়া লাহূ ওয়লা- মূবিয়া।।

বাংলা অর্থঃ ‘ঐ আল্লাহ্র প্রশংসা, যিনি আমাদেরকে খাওয়ালেন, পান করালেন, আমাদের প্রয়োজন নির্বাহ করলেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিলেন। অথচ এমন কত লোক রয়েছে, যাদের না আছে কেউ প্রয়োজন নির্বাহক, আর না আছে কোন আশ্রয়দাতা’ (মুসলিম, মিশকাত, ২০৯ পৃঃ, হা/২৩৮৬)।

(৮) 

হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন শয়নের ইচ্ছা করতেন, তখন হাত মাথার নীচে রাখতেন। অতঃপর তিন বার বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব্‘আছু ‘ইবা-দাকা।

বাংলা অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার আযাব হ’তে বাঁচিয়ে নিও, যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে’ (তিরমিযী, মিশকাত, ২১০ পৃঃ, হা/২৪০০ ‘সকাল-সন্ধ্যায় ও নিদ্রা যাওয়ার সময় দো’আ’ অনুচ্ছেদ, সনদ ছহীহ)।

(৯) 

হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন তখন তিনি তাঁর হাত গালের নীচে রাখতেন। অতঃপর বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা বিস্মিকা আমুতু ওয়া আহ্:ইয়া-।

বাংলা অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার নামেই জীবিত হই’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ২০৮ পৃঃ, হা/২৩৮২)।

(১০) 

আলী (রাঃ) বলেন, একদা ফাতেমা (রাঃ) চাক্কি পিষতে তাঁর হাতে যে কষ্ট হয়, তা বলার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে গেলেন। তিনি সংবাদ পেয়েছিলেন যে, নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট যুদ্ধবন্দী গোলাম এসেছে। কিন্তু তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সাক্ষাৎ পেলেন না। তখন আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট তা উল্লেখ করলেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) যখন আসলেন, তখন আয়েশা (রাঃ) তাঁকে এ সংবাদ দিলেন। আলী (রাঃ) বলেন, সংবাদ পেয়ে রাসূল (ছাঃ) আমাদের নিকটে আসলেন। তখন আমরা শয্যা গ্রহণ করেছি। আমরা উঠার চেষ্টা করলে তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ জায়গায় থাক। অতঃপর তিনি আমার ও তার মধ্যখানে এসে বসলেন, যাতে তাঁর পায়ের শীতলতা আমার পেটে অনুভব করলাম। 

অতঃপর তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন জিনিসের সংবাদ দিব না, যা তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে উত্তম। যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করবে, তখন ৩৩ বার (সুবহানাল্ল-হ), ৩৩ বার (আল্হামদুলিল্লাহ) এবং ৩৪ বার, (আল্ল-হু আকবার) বলবে। এটা তোমাদের চাকর অপেক্ষা উত্তম হবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ২০৯ পৃঃ, হা/২৩৮৭)।

পার্শ্ব পরিবর্তনের দোয়া

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন রাতে পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন, তখন বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হুল ওয়া-হি:দুল ক্বাহা-র। রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়া মা- বায়নাহুমাল ‘আঝীঝুল গফ্ফা-র।

বাংলা অর্থঃ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক শক্তিশালী। আসমান-যমীন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুর প্রতিপালক তিনি। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল’ (সনদ ছহীহ, মুস্তাদরাকে হাকেম, ১ম খণ্ড, ৭২৪ পৃঃ, হা/১৯৮০ ‘দো’আ, তাকবীর ও তাহলীল’ অধ্যায়)।

নিদ্রাবস্থায় ভয় পেয়ে অস্থির হ’লে দোয়া

আমর ইবনু শো’আইব (রাঃ) তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হ’তে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন সে যেন বলে,

বাংলা উচ্চারণঃ আউযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন গম্বুাবিহী ওয়া ‘ইক্কা-বিহী ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহী ওয়া মিন হামঝা-তিশ শায়া-ত্বীনি ওয়া আইঁ ইয়াহ্:য়ুরুন। 

বাংলা অর্থঃ ‘আমি আল্লাহ্ পূর্ণবাক্য সমূহের আশ্রয় নিচ্ছি তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হ’তে, তাঁর বান্দার অনিষ্ট হ’তে এবং শয়তানের খটকা হ’তে, আর সে যেন আমার নিকট উপস্থিত হ’তে না পারে’ (ছহীহ আবুদাউদ হা/৩৮৯৩, তিরমিযী, মিশকাত, ২১৭ পৃঃ, হা/২৪৭৭, সনদ হাসান)।

নিদ্রাবস্থায় ভাল বা মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয়

ঘুমের মধ্যে মন্দ স্বপ্ন দেখলে বাম পার্শ্বে তিনবার থুথু ফেলতে হবে, তিনবার (আ’উযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্ব-নির্ রজীম) পড়তে হবে এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করতে হবে। এ স্বপ্ন কারও সামনে বলা নিষিদ্ধ। ভাল স্বপ্ন দেখলেও কাউকে বলতে হয় না। তবে একান্ত অন্তরঙ্গ বন্ধুর সামনে অথবা জ্ঞানীদের সামনে বলা যেতে পারে।

আবু কাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, “উত্তম স্বপ্ন আল্লাহ্ পক্ষ থেকে হয়। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের যে কেউ ভাল স্বপ্ন দেখে, সে যেন এমন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করে, যাকে সে ভালবাসে। আর যদি কেউ মন্দ স্বপ্ন দেখে তাহ’লে সে যেন এর ক্ষতি এবং শয়তানের অনিষ্ট হ’তে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চায় এবং বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলে। স্বপ্নটি যেন কারো নিকট প্রকাশ না করে। তাহ’লে তা তার ক্ষতি করতে পারবে না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ৩৯৪ পৃঃ, হা/৪৬১২ ‘স্বপ্ন’ অধ্যায়)।

জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে অপসন্দ করে, তখন সে যেন তার বাম দিকে তিন বার থুথু ফেলে । আর আল্লাহ্র নিকট তিন বার শয়তান হ’তে আশ্রয় চায় ও পার্শ্ব পরিবর্তন করে (মুসলিম, মিশকাত, ৩৯৪ পৃঃ, হা/৪৬১৩)।

ঘুম থেকে উঠার দোয়া

ঘুম থেকে উঠার পরো দোয়া পরতে হয়, এই দোয়াকে আমরা ঘুমানোর পরের দোয়া হিসাবে জানি, চলুন দেখে নেই ঘুম থেকে উঠার দোয়া।

(১) 

হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূল (ছাঃ) ঘুম থেকে জাগ্ৰত হ’তেন তখন বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ আল্‌হাম্‌দু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্:ইয়া-না- বা’দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

বাংলা অর্থঃ ‘ঐ আল্লাহ্র প্রশংসা, যিনি মৃত্যুর পর আমাদেরকে পুনরায় জীবিত করলেন। আমাদের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে’ (বুখারী, মিশকাত, ২০৮ পৃঃ)।

ঘুম থেকে উঠার দোয়া
ঘুম থেকে উঠার দোয়া

(২) 

উবাদা ইবনু ছামেত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কেউ যদি শেষ রাতে শয্যায় যাওয়ার পর ঘুম থেকে জেগে বলে,

বাংলা উচ্চারণঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহ, লাহুল মুল্‌কু ওয়া লাহুল হাম্‌দু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর, সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিইয়িল আযীম।

বাংলা অর্থঃ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই অধীনে, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সমস্ত বস্তুর প্রতি ক্ষমতাশীল। আমরা আল্লাহ্ পবিত্রতা বর্ণনা করি। প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি বা কোন উপায় নেই । তিনি উচ্চ, বড়। (শেষে বলবে,) ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (বুখারী, ইবনু মাজাহ, হা/৩১৪২; মিশকাত হা/১২১৩ ‘রাতে জাগ্রত হয়ে দো’আ’ অনুচ্ছেদ, ‘ছালাত’ অধ্যায়)।

(৩) 

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুম থেকে ওঠার সময় বলতেন,

বাংলা উচ্চারণঃ আল্‌হাম্‌দু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী ওয়া রদ্দা ‘আলাইইয়া রূহী ওয়া আযিনালী বিযিরিহ।

বাংলা অর্থঃ ‘প্রশংসা ঐ আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার শরীরে নিরাপত্তা দান করেছেন, আত্মা ফেরত দিয়েছেন এবং তাঁকে স্মরণ করার সুযোগ দিয়েছেন’ (ছহীহ তিরমিযী, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ১৪৪)।

(৪) 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন শেষ রাতে তাহাজ্জুদ সালাত আদায়ের জন্য উঠতেন, তখন সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকূ তিলাওয়াত করতেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ১০৬ পৃঃ)। অন্য বর্ণনায় শেষ রুকূর প্রথম ৫ আয়াত পড়ার কথা আছে (ছহীহ নাসাঈ হা/১৬২৫; সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১২০৯ ‘রাতের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।

পরিশেষে

সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্যে ঘুম খুব দরকারি, তাই রাতে তারাতারি ঘুম আসার জন্যে ঘুমের আগে আমল ও ঘুমের দোয়া পড়া খুব উপকারি।

তো বন্ধুরা এই ছিলো ঘুমানোর আগে ও পরের দোয়া, যদি এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না, ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে। সবাই ভালো থাকবেন, বিদায়।

Leave a Reply