কাজলা দিদি কবিতাটি আমাদের ছোটবেলার একটি ভালোবাসার নাম, আমরা যখন পড়া কি জিনিষ বুঝতাম তখন আমাদের মা চাচীরা আমাদের এই কবিতা শুনাতেন, এমনকি যখন পড়তে পাড়তাম না তখনো আমরা অনেকেই মুখস্ত করে ফেলি কাজলা দিদি কবিতার অনেকগুলি চরণ।
তো সে যাই হোক, আজকের লেখাতে থাকছে আমাদের সেই প্রিয় কবিতা। দিন দিন চর্চাহীন থাকায় হয়তো আমরা অনেকেই পুরো কবিতাটি ভুলে গেছি আবার অনেকের আবাছা মনে আছে, তবে ভয়ের কোন কারণ নাই, এখান থেকে আপনি আপনার প্রিয় কবিতাটি আবার মুখস্থ করে নিতে পারবেন।
কাজলা দিদি
– যতীন্দ্রমোহন বাগচী
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন
দিদি বলে ডাকি তখন,
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল্ মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে
আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন ক’রে রবে?
আমিও নাই—দিদিও নাই—কেমন মজা হবে!
ভূঁই-চাঁপাতে ভরে গেছে শিউলী গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল |
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে
বুলবুলিটা লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল,
দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ |
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর তলে পুকুর পাড়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই,—
রাত্রি হোল মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
কাজলা দিদি কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের?
কাজলা দিদি কবিতাটি কাব্যমালঞ্চ কাব্যগ্রন্থের।
কাজলা দিদি কবিতার লেখক কে?
কাজলা দিদি কবিতা আবৃত্তি
যদি আপনি কাজলা দিদি কবিতা আবৃত্তি খোজে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন, নিচের ভিডিওতে এই কবিতার একটি সুন্দর আবৃত্তি রয়েছে।
রিলেটেডঃ চল চল চল কবিতা – কাজী নজরুল ইসলাম
তো বন্ধুরা যদি আপনার প্রিয় কাজলা দিদি কবিতাটি অনেকদিন বাদে পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না, আজকের মতো এখানেই বিদায়, ডেখা হবে আগামি লেখাতে।