আসসালামুয়ালাইকুম সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমরা অনেকেই নিজের অজান্তে অনেক ধরনের গুনাহ করে ফেলি। আবার ভুলে এসব গুনাহ করে ফেললে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।
আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার অন্যতম উপায় হচ্ছে তওবা করা। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। খাঁটি মনে তওবা করলে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। এমনকি কারো গুনাহের বোঝা অনেক বেশি হলেও তিনি তার বান্দাকে নিরাশ করেন না।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন–
হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’
(সুরা জুমার: ৫৩)
যে ব্যক্তি তওবা করে ঈমান আনে ও নিজেকে গুনাহের কাজ করা থেকে বিরত থাকে তাকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদান দেন।
এজন্য তওবা করার নিয়ম সম্পর্কে জানা খুব জরুরী। সঠিক নিয়ম না মেনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল না-ও হতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয় সম্পর্কে অবগত নন। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কিভাবে সঠিক নিয়মে তওবা করে আমরা আমাদের ঈমানকে মজবুত করতে পারি।
তওবা:
তওবা একটি আরবি শব্দ। তওবা শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো অনুশোচনা করা, ফিরে আসা বা প্রত্যাবর্তন করা। শরীয়তের পরিভাষায়, কৃত গুনাহের ওপর অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করাকে তওবা বলে। শরিয়ত বহির্ভূত নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে ইসলাম নির্দেশিত কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসলে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে কবুল করে নেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহ তায়ালা তওবাকারীকে ভালোবাসেন।
এ সম্পর্কে আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে–
“নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন এবং তাদেরকেও ভালবাসেন যারা পবিত্র থাকে।”
(সুরা বাকারা: ২২২)
প্রত্যেক মুসলিমের জন্য সর্বদা তওবা করা এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা ওয়াজিব। তওবা করার মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা ও পরকালে জান্নাত লাভ করা যায়।
তওবার শর্ত:
বান্দা আল্লাহর নিকট খাঁটি মনে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তা কবুল করেন। তবে কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃত পাপকর্ম পরিত্যাগের ইচ্ছা না করে কেবল মুখে মুখেই তওবা করে তবে তা উপহাস ছাড়া আর কিছুই না। তাই প্রকৃত তওবা বা আন্তরিক তওবা করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালার দরবারে তওবা গৃহীত হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়।
সেই শর্তগুলো পূরণ করার মাধ্যমেই কেবল আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়।
আলেম-ওলামাগণ কুরআন ও হাদীস মন্থন করে তাওবার জন্য কতিপয় শর্ত উল্লেখ করেছেন,
তওবা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্যঃ
আল্লাহ তায়ালার ভয় বা সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোনো সৃষ্টির ভয় বা সন্তুষ্টির উদ্দেশে তওবা করলে সেটা কখনো আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। কারণ লোক দেখানো তওবা বা কারো মন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তওবা কখনোই খাঁটি তওবা হতে পারে না। খাঁটি তওবার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং গুনাহ থেকে মুক্তি।
নিজের কৃত পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়াঃ
কোনো ব্যক্তির মধ্যে যদি পাপ কাজ করার পর কোনো অনুশোচনা না থাকে তবে তার তওবা করে কোনো লাভ হবে না। তার তওবা কবুল হবে না। তাই নিজের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
নবী করীম (সা.) বলেছেন,
‘‘অনুতপ্ত হওয়াই হলো তওবার মূল বিষয়।”
(সুনান ইবনু মাজাহ : ৪২৫২)
পাপ পুরোপুরিভাবে বর্জন করতে হবেঃ
যেই কাজের জন্য তওবা করা হবে তা সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। পাপ কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় কেউ তওবা করলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। তাই খাঁটি মনে পাপ কর্ম থেকে ফিরে এসে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে।
পাপকর্মে আর কখনও লিপ্ত না হওয়ার প্রতিজ্ঞা করাঃ
আল্লাহর নিকট তওবা করার জন্য ভবিষ্যতে আর কখনো পাপ কাজে লিপ্ত না হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। কেউ যদি তওবা করার পরও আবার সেই একই পাপ কাজে লিপ্ত হয় তবে তার তওবা কোনো কাজে দিবে না। আল্লাহ তায়ালাও তাকে ক্ষমা করবেন না।
মানুষের অধিকার তাকে ফিরিয়ে দিতে হবেঃ
কৃত পাপকর্মের সাথে যদি মানুষের হক জড়িত থাকে তবে অবশ্যই তা পূরণ করতে হবে এবং তার কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে।
উক্ত শর্তগুলো পূরণ করার মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন এবং ভালোবাসবেন। কারণ তিনি তওবাকারীদের ভালোবাসেন।
তওবা করার নিয়ম:
আল্লাহর কাছে তওবা করার কিছু সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে। তওবা করার এই নিয়মগুলো মেনে যথাযথভাবে তওবা করলেই তা আল্লাহ কবুল করে নেবেন।
খাঁটি মনে তওবা করার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি।
- তওবা করার জন্য প্রথমে উত্তমরূপে ওজু করে নিতে হবে। তারপর দুই রাকআত নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে।
- তওবা করার জন্য নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে নফল নামাজ ছাড়াও যেকোনো ওয়াক্তের নামাজের পর আল্লাহর নিকট তওবা করা যায়।
- হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী আমাদের প্রতিনিয়ত ও সার্বক্ষণিক তওবার উপর আমল করা উচিত। নিজের অজান্তেও অনেক সময় আমাদের দ্বারা পাপ কাজ হয়ে থাকে। এজন্য বেশি বেশি তওবা করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে নেয়া উচিত।
- তওবা করার আগে ইস্তে-গফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। কারণ তওবা করার আগে অতীতের সব গুনাহের জন্য মাফ চেয়ে নিতে হয়। এরপর তওবা করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আর গুনাহের কাজ না করার সংকল্প করতে হয়।
- তওবা করার সময় অন্তরে আশা রাখতে হবে, যে আমি গুনাহগার কিন্তু আল্লাহ গাফুরুর রাহীম – অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং তিনি আমার তওবা কবুল করবেন।
- তওবা করার পর প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকার এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি নেকীর কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।
- আমাদের সমাজে এখন তওবা পড়ানোর রীতি দেখা যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে হুজুর ডেকে তওবা পড়ানো হয়। তবে এরকম তওবা কোরআন ও হাদিসের আলোকে সঠিক নয়। তওবা জীবনের যেকোনো সময়ে করা যায় মৃত্যুর সময় আসার আগ পর্যন্ত।
তওবার জন্য যেসব দুআ পাঠ করতে হয়:
তওবা করার জন্য অনেক ধরনের দুআ পাঠ করা যায়। বেশি বেশি সেই দুআ গুলো পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবো। নিম্নে কুরআন ও হাদীস স্বীকৃত কিছু দুআ সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া হলো–
★ নিচের দুটি দুআ সূরা ইখলাসের সাথে পাঠ করলে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ থাকলেও তা মাফ হয়ে যাবে।
১.‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু, ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন; এবং আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি।
(তিরমিজি, আবু দাউদ)
২. ‘আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহ তাআলার সাহায্য ব্যতীত গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনো শক্তি নেই।
(মুসলিম ও তিরমিজি)
★ তওবা করার জন্য শ্রেষ্ঠ দুআ হলো সায়্যেদুল ইস্তিগফার। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দুআ সম্পর্কে বলেন,
‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এই ইস্তিগফার পাঠ করবে, সন্ধ্যার আগে তাঁর মৃত্যু হলে সে জান্নাতী; যে ব্যক্তি রাতে এই ইস্তিগফার পাঠ করবে, সকালের আগে তাঁর মৃত্যু হলে সে জান্নাতী।’
(সহীহ বুখারী:৬৩০৬)
সায়্যেদুল ইস্তিগফারঃ
‘আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, খলাকতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাত আতু। আউযু বিকা মিন শাররি মা ছানাতু। আবুউ লাকা বি-নিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুউ বি-জাম্বি, ফাগফিরলি, ফা ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইল্লা আন্তা।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনিই আমার প্রভু, আপনি ছাড়া আমার আর কোনো মাবুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য আপনার নিকট প্রদত্ত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ওপর বহাল থাকবো। আমি যতো মন্দ কাজ করেছি, ওই সবের কুফল থেকে বাঁচার জন্য আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার ওপর আপনার যে অসংখ্য নেয়ামত রয়েছে, তার শোকর গুজারি করি এবং আমার পাপের স্বীকৃতিও প্রদান করি; অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন; আমার গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা আপনি ছাড়া আর কারো নেই।
★ তওবা করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দুআ রয়েছে যা রমজানের শেষ দশ রাতে অধিক পরিমাণে পাঠ করা উত্তম।
‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা’ফু ‘আন্নী’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও।’
রমজানের পাশাপাশি অন্যান্য দিনেও এই দুআ পাঠ করা যায়।
★ এছাড়াও শুধুমাত্র প্রতিদিন বেশি বেশি ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পাঠ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়।
প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ইস্তেগফারটি ৩ বার পাঠ করতেন।’ (মিশকাত)
তওবার ফজিলত:
তওবা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি ইবাদত। এ কারণেই কুরআন ও হাদীসে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবা করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতীত।’
(সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
এছাড়াও রাসূল (সা.) বলেন,
“প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপ করে, পাপীদের মধ্যে তারাই সর্বোত্তম যারা তওবা করে।”
(আহমাদ ১৩০৪৯, ইবনে মাজাহ ৪২৫১)
সহিহ বুখারীতে, আনাস ইবনে মালিক বর্ণনা করেন–
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, “তোমাদের কেউ মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া উট খুঁজে পেয়ে যতটা খুশি হয়, আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবাতে তাঁর চেয়েও বেশি খুশি হন।”
(সহীহ বুখারী, ৮:৭৫:৩২১)
তাই বোঝা যাচ্ছে একজন মুসলিমের জন্য তওবা করা কতটা ফজিলতপূর্ণ।
রিলেটেডঃ নারীরা স্বপ্নে সাপ দেখলে কি হয়
যাদের তওবা কবুল হয় না:
কারো দ্বারা যতো বড় গুনাহ সংঘটিত হোক না কেন প্রকৃত তওবা করার উসিলায় আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন। এমনকি শিরকের মতো ভয়াবহ গুনাহেরও ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি খাঁটি মনে তওবা করা হয় এবং শিরক থেকে দূরে আসা যায়।
এরপরেও কিছু তওবা বা কারো তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। নিম্নে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো–
- কেউ যদি মৃত্যুর সময় তওবা করে তবে তার সেই তওবার মূল্য নেই। এ সম্পর্কে আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
“আর (আজীবন) যারা মন্দ কাজ করে, তাদের জন্য তওবা নয়; তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে- ‘আমি এখন তওবা করছি।’ আর তাদের জন্যও তওবা নয়; যারা অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়। এরাই তো তারা, যাদের জন্য আমি কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।”
(সুরা নিসা: ১৮)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায় তারা মৃত্যুর সময় নিজের পাপকর্মের জন্য তওবা করবে তাদের তওবা কবুল হবে না। অর্থাৎ তারা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।
- আল্লাহর দুশমন ইহুদি সম্প্রদায় যারা ইঞ্জিল ও ঈসা (আ.)-এর সঙ্গে কুফরি করেছে। তারপর তারা মুহাম্মদ (স.) ও কোরআনের সঙ্গে কুফরি করছে তাদের তওবা আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না।
- পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়ের পর অর্থাৎ কেয়ামতের একটি বড় আলামত প্রকাশ পাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা আর কারো তওবা কবুল করবেন না।
তাই সকল মুসলমানের উচিত মৃত্যুর সময় আসার আগে সুস্থ অবস্থায় আল্লাহর নিকট তওবা করে নেয়া যেন তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়।
পরিশেষে বলা যায়,
তো বন্ধু এই ছিলো আজকের লেখা তওবা করার নিয়ম ও এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, দোয়া ও হাদিস।
আমরা যেন ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় সব বিধিবিধান ও ধর্মীয় অনুশাসন যথাযথভাবে মেনে চলতে পারি এবং তওবার শর্তসমূহ পূরণ করে সঠিক নিয়মে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। আল্লাহ যেনো আমাদের সঠিকভাবে তওবা করার তৌফিক দান করেন,আমীন।
যদি লেখাটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না, এছাড়াও লেখা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।