পৃথিবীতে বরাবরই সুস্থ হাসির মূল্য অনেক। আর প্রতিটি সুস্থ হাসির পেছনে থাকে ধবধবে সাদা এবং স্বাস্থ্যকর দাঁত। অন্যদিকে দাঁতে যদি বিভিন্ন দাগ থাকে কিংবা দাঁত যদি হলুদবর্ণের হয় তবে সেক্ষেত্রে ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটানোটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত সাদা করার উপায়, দাঁত সাদা করার ঔষধ এবং দাঁত সাদা করার টুথপেষ্ট সম্পর্কে।
সাদা দাঁত কেন দরকারি?
আপনি কি জানেন হাসির সাথে ব্যাক্তিত্বের একটি দারুণ সম্পর্ক রয়েছে? মূলত আপনার এই সুস্থ হাসিই হয়ে উঠতে পারে আপনার আত্মবিশ্বাসের মূল উৎস। তাছাড়া সাদা দাঁতের চমৎকার হাসি আপনার চেহারায় বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে পারে।
আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন দাঁতে দেখা দেওয়া সামান্য হলুদ দাগ থেকেই সম্পুর্ণ দাঁতের ফালিই হয়ে যেতে পারে দাগযুক্ত এবং কালচে। শুধু তাই নয়! দাঁতের এই সমস্যা একটা সময়ে গিয়ে দাঁত ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
পাশাপাশি কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনার বাড়তি যত্ন নেওয়া সাদা দাঁত আপনাকে অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সাদা দাঁত থাকার কিন্তু আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। যা উপভোগ করতে হলে দাঁতের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। সেইসাথে দাঁত সাদা রাখার উপায়গুলিকে কাজে লাগাতে হবে।.
দাঁত সাদা করার উপায়
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা সরাসরি আলোচনা করবো দাঁত সাদা করার উপায়গুলি কি কি হতে পারে সেই সম্পর্কে।
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ব্যবহার
সাময়িক সময়ের জন্যে দাঁত সাদা রাখতে অনেকেই দাঁতে ব্লিচিং করিয়ে থাকে। এতে থাকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ব্যবহার। বলে রাখা ভালো এটি একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া। একটি গবেষণা বলছে এভাবে দাঁত সাদা করার ফলে দাঁতের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। এটির ব্যবহার কিছুটা টুথপেষ্ট কিংবা মাউথওয়াশের মতো।
যারা দাঁত সাদা করতে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী কিংবা বাড়িতে কোনো ঝামেলা পোহাতে চান না তারা এভাবে দাঁতের ব্লিচিং করিয়ে নিতে পারেন। আশা করি সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন এক্ষেত্রে ভালোমানের হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড সংগ্রহ করে নিতে হবে যা আপনি চাইলেই নিকটস্থ কোনো ফার্মেসীতে পেয়ে যাবেন।
দাঁতে স্ট্রিপ বা ট্রে করা
মূলত দাঁত সাদা করার অনেকগুলি জনপ্রিয় উপায় রয়েছে। এইসব উপায়ের মাঝে বেশ জনপ্রিয় একটি উপায় হলো দাঁতে স্ট্রিপ বা ট্রে করা। এই উপায়ে দাঁত সাদা করতে পারলে তা ব্যাক্তির হাসির উপরে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হয়। যা দাঁতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত প্রয়োগ করতে হয়। বরে রাখা ভালো এই মিশ্রণটি কিছুটা জেলের মতো হবে।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো মিশ্রণটি কিছুটা জেলের মতো হওয়ায় তা সহজে দাঁতে প্রয়োগ করা যাবে। তবে তার পূর্বে এই জেলটি তৈরি করে নির্দিষ্ট ট্রেতে ঢেলে নিতে হবে।
মনে রাখবেন এই মিশ্রণটি দাঁতে একবার প্রয়োগ করতে পারলে এর ফলাফল সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত তা স্থায়ী হবে। যদিও এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন কোনোভাবে মাঁড়ির সংস্পর্শে না আসে। কেননা যেকোনো রাসায়নিক পদার্থই মাঁড়ির জন্য ক্ষতিকর।
দাঁত সাদা রাখাতে এগুলা থেকে বিরত থাকুন
কেবলমাত্র টুথপেস্ট এবং ঔষধ ব্যবহার করলেই দীর্ঘদিন ধরে দাঁত সাদা থাকবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিচের তথ্যগুলি মাথায় রাখতে হবে:
- অতিরিক্ত চা কপি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার চেষ্টা করুন
- নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠার পরে দাঁত ব্রাশ করুন
- ধুমপান পুরোপুরি ত্যাগ করুন
- ব্রাশ করার সময় জিহবা এবং মাড়ির পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন
- সম্ভব হলে মাড়ির স্ক্র্যাবার কিনে ফেলুন
- ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সঠিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন
- ২/৩ মাস পরপর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন
- নিয়মিত ফ্লসিং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন
দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায় ও ঘরোয়া উপায়
ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি দাঁত সাদা করার বেশকিছু আধুনিক উপায়। যা প্রয়োগ করতে গিয়ে প্রয়োজন পড়বে নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক পদার্থ। কেমন হয়? যদি আমরা এমনকিছু উপায় খুঁজে পাই, যার সাহায্যে ঘরে থাকা অল্পকিছু উপকরণ দিয়ে মিটিয়ে ফেলা যাবে দাঁত সাদা করার এই মহা ঝামেলা। চলুন তবে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক সাদা দাঁত করার ঘরোয়া উপায়।
বেকিং সোডা দিয়ে ব্রাশ করা
দাঁত সাদা করার বেশ জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় হলো বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা। রান্নার সুবাদে মূলত আমাদের প্রত্যেকের ঘরে বেকিং সোডা থাকে। আর এই বেকিং সোডাকে চাইলেই সহজে দাঁত সাদা করার কাজে লাগানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- ১ চা চামচ বেকিং সোডা নিন
- ১ চা চামচ পানি নিন
- বেকিং সোডা এবং পানি ভালো়ভাবে মিশিয়ে নিন।
- মিশ্রণটিকে যতটা সম্ভব ঘন করার চেষ্টা করুন
- টুথব্রাশে মিশ্রণটি লাগিয়ে কয়েক মিনিট ধরে তা প্রয়োগ করুন
- সবশেষে ভলোভাবে কৃলি করে নিন
এইভাবে প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার দাঁত ব্রাশ করতে পারলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন মুক্তার মতো সাদা দাঁত।
রিলেটেডঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, পুষ্টিগুণ
নারিকেল তেল ব্যবহার করুন
আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন মুখের ক্ষেত্রে কিংবা মুখের যত্নে নারিকেল তেলের উপকারীতা প্রায় দেখার মতো। আপনি চাইলে দাঁত সাদা করার ক্ষেত্রেও এই নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়ম বলার পূর্বে বলে রাখি এই নারিকেল তেল দাঁতকে হলদে আস্তরণ থেকে রক্ষা করে। আপনিও যদি এই নারিকেল তেলের সাহায্যে দাঁত সাদা করতে চান তবে জেনে নিন এটি তৈরি ও ব্যবহারের সঠিক নিয়ম:
- ১ চা চামচ নারিকেল তেল নিন
- এবার দাঁতে তা ভালো করে ঘষে নিন
- সবশেষে স্বাভাবিক পানির সাহায্যে কুলি করে নিন
নারিকেল তেলের সাহায্যে এভাবে প্রতিদিন ১ বার দাঁত পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার পূর্বে এভাবে দাঁত পরিষ্কার করে নিতে পারলে।
লেবু বা কমলার খোসা ব্যবহার করুন
বলা হয়ে থাকে কমলালেবু এবং লেবুর খোসায় রয়েছে সাইট্রিক এসিড। এই এসিড দাঁতকে ব্লিচ করতে এবং সাদা করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই ফলগুলির খোসা দাঁতে থাকা এনামেল দুর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই এসিড দাঁতের জীবাণু দূর করে দাঁতকে সুস্থ রাখে। দাঁত সাদা করতে এভাবে কমলালেবু বা লেবুর খোসা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের টিপসগুলি অনুসরণ করুন:
- কমলালেবু বা লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিন
- এবার কিউভ করে কেটে দাঁতে বসিয়ে দিন
- এভাবে দাঁতে ১ থেকে ২ মিনিট সময় পর্যন্ত রাখুন
- দাঁত ব্রাশ করে স্বাভাবিক পানি দিয়ে কুলি করে নিন
আপনার দাঁত সাদা করতে এবং পুরো মুখ পরিষ্কার করতে এভাবে দিনে ১ বার পরিষ্কার করুন।
আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন
আপেল সিডার ভিনেগারে দাঁত ব্লিচিং করার বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি ব্যবহারের ফলে দাঁত সাদা এবং পরিষ্কার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই আপেল সিডার ভিনেগার দাঁত সাদা করার কাজে ব্যবহার করা যাবে:
- ১ বা ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার নিন
- ১ কাপ পরিষ্কার পানি নিন
- পানি এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
- টুথপেষ্ট ব্যবহারের মতো করে এই মিশ্রণটি দাঁতে প্রয়োগ করুন
- এবারে পরিষ্কার পানির সাহায্যে কুলি করে নিন
দাঁত সাদা রাখতে আপনি চাইলে প্রতিদিন আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় দিনে ২ বার অর্থ্যাৎ দাঁত ব্রাশের আগে ১ বার এবং পরে এক বার ব্যবহার করতে পারলে।
রিলেটেডঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় ২০২৩
ফল এবং সবজি ব্যবহার করুন
দাঁত সাদা করার উপায় হিসাবে আপনি চাইলে বিভিন্ন ফল এবং সবজি ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরুন স্ট্রবেরি, কমলালেবু, পেঁপে, গাজর, আনারস ইত্যাদি ফল বা সবজি। মূলত এসব খাবারে প্রাকৃতিকভাবেই দাঁত সাদা করার উপাদান মিশে থাকে। সোজা বাংলায় এসব খাবার আমাদের দাঁতের এনামেল থেকে চিরদিনের জন্য দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি এসব খাবার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় বলে এসবের ব্যবহারও যথেষ্ট নিরাপদ। সাধারণত দুইটি উপায় অবলম্বন করে এই ফল বা সবজিকে দাঁত সাদা করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এসব ফল বা সবজি নিয়মিত খেতে পারেন বা দাঁতে কয়েক মিনিটের জন্য লাগিয়েও রাখতে পারেন।
রিলেটেডঃ মুখে ঘা হলে করণীয়, কারণ, ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকার
দাঁত সাদা করার ঔষধ
যাদের দাঁত বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার পরেও সাদা হচ্ছে না তাদের উচিত দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। আর্টিকেলের এই অংশে চলুন আলোচনা করা যাক দাঁত সাদা করার বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে।
ফ্লোকোনাজল: দাঁত সাদা করার ঔষধ
ফ্লোকোনাজল হলো একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল। এই ঔষধটি সাধারণত নিউমোনিয়া, মূখের অসুখ, দাঁতের ব্যাথা, লিভারের সমস্যা, মূত্রনালী এবং পেটের ছত্রাকজনিত সমস্যা এবং হার্টের রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এতে সাধারণত ফোরকান কোম্পানির একটি ঔষধ।
জাইলিটল: দাঁত সাদা করার ঔষধ
এই ঔষধটিকে চিনির অ্যালকোহলও বলা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আপনার যদি দাঁতে ক্ষয়জনিত সমস্যা থাকে, দাঁতে বিভিন্ন দাগ থাকে এবং মূখে শুষ্কতা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এই ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন।
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট
সময় পাল্টানোর সাথে সাথে আজকাল দাঁত সাদা করার বিভিন্ন টুথপেষ্ট বের হয়েছে। আপনি যদি দাঁত সাদা করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায় প্রয়োগ করতে না চান তবে দাঁত সাদা করার এসব টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে পারেন। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দাঁত সাদা করার বেশকিছু কার্যকর টুথপেষ্ট:
কোলগেট টোটাল এসএফ হোয়াইটিং টুথপেষ্ট জেল
কোলগেট টোটাল হলো টুথপেষ্টের বেশ জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডটি মূলত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাদের নিজস্ব পণ্যের সেরা মানের উপর। কোলগেট টোটাল এসএফ হোয়াইটিং টুথপেষ্ট জেল হলোঅ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্ট্যানাস ফ্লোরাইড দিয়ে তৈরি বিশেষ একটি টুথপেষ্ট। যা দাঁতের বিভিন্ন দাগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এই টুথপেষ্টটি কিনতে হলে আপনাকে নিকটস্থ ফার্মেসীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কোলগেট টোটাল এসএফ হোয়াইটিং টুথপেষ্ট জেল নামের এই পণ্যটির অফিসিয়াল দাম হলো ৪০০ টাকা। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফার্মেসীতে এই দামের তারতম্য ঘটতে পারে।
নেটিভ হোয়াইটেনিং টুথপেষ্ট উইথ ফ্লোরাইড
এই টুথপেষ্টটির প্রধান উপকরণ হলো বন্য পুদিনা এবং বিশেষ ধরনের তেল। দাঁতে থাকা বিভিন্ন দাগ দূর করতে এবং দাঁতকে সাদা রাখতে এই টুথপেষ্টটিতে সামান্য পরিমাণে ফ্লরাইড ব্যবহার করা হয়েছে।
সেই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে হাইড্রেটেড সিলিকা যা দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে এবং ভালোভাবে পলিশ করতে সাহায্য করে। এতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে গ্লিসারিন।
যা মূখের প্রাকৃতিক আদ্রতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যাইহোক! আপনি যদি এই নেটিভ হোয়াইটেনিং টুথপেষ্ট উইথ ফ্লোরাইড নামক পণ্যটি কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে সর্বমোট ১২০০ টাকা।
আল্ট্রা ব্রাইট টুথপেষ্ট
এই আল্ট্রা ব্রাইট টুথপেষ্টটির দাম মাত্র ২০০ টাকা। দামের পরিমাণ খুব অল্প হলেও এর কার্যকরিতা কিন্তু দেখার মতো। বেশিরভাগ চিকিৎসকেরা তাদের রোগীর দাঁত সাদা করার ক্ষেত্রে এই টুথপেষ্টটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। উপকরণ হিসেবে এতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইড্রেটেড সিনিকা, ফ্লোরাইড এবং গ্লিসারিন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে দাঁত হয়ে উঠবে মুক্তার মতো সাদা।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনায় উল্লেখ করা টিপসগুলি ফলো করলেই পেয়ে যাবেন সুস্থ এবং সাদা রং এর দাঁত। আশা করি আলোচিত দাঁত সাদা করার উপায়গুলি জীবনে একবার হলেও ফলো করবেন।
যাই হোক! আমাদের আজকের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো জানাতে ভূলবেন না কিন্তু। প্রতিটি মূখে ফুটে উঠুক সুন্দর হাসি।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
কিভাবে আমি আমার হলুদ রঙের দাঁতকে সাদা করবো?
যাদের দাঁত মাত্রাতিরিক্ত হলুদ তারা হাইড্রোজেন পারক্সাইড এবং বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। এটির ব্যবহার দাঁতে ব্যাকটেরিয়া দূর করে। আর ব্যাকটেরিয়া দূর হলেই দাঁতের হলুদবর্ণ কমে আসে।
যাইহোক! দাঁতের এই সমস্যা দূর করতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড এবং বেকিং সোডা পেস্ট তৈরি করে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। আর হাইড্রোজেন পারক্সাইডের জন্যে নিকটস্থ যেকোনো ফার্মেসির সাথে যোগাযোগ করুন।
কিভাবে দাঁতে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয়?
দাঁতকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন ২ বার করে দাঁত ব্রাশ করুন। কমপক্ষে ৩/৪ মাস পরপর দাঁতের ব্রাশগুলি পরিবর্তন করুন। ভালোমানের এবং ব্র্যান্ডের টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন৷ খাবার শেষ করে কুলি করে নিন।
সবচেয়ে বেশি ভালো হয় এই সময় ব্রাশ করে ফেলতে পারলে।
কত সময় ধরে দাঁতে টুথপেষ্ট ব্যবহার করা উচিত?
২ মিনিটের উপরে টুথপেষ্টকে দাঁতে উপর রাখা উচিত। কারণ ২ মিনিটের সময়ে টুথপেষ্ট দাঁতের এনামেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে না।
তথ্যসুত্রঃ
২। https://northerntrailsdentalcare.com/blog/could-white-teeth-help-you-land-a-job-interview/
৩। https://www.webmd.com/oral-health/ss/slideshow-10-secrets-to-whiter-teeth
৪। https://medex.com.bd/brands/9862/fluconal-150mg
৫। https://www.thefiltery.com/native-toothpaste-review/