প্রতিটি ব্যাক্তির সৌন্দর্য এবং ব্যাক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলার ক্ষেত্রে ঠোঁটের সৌন্দর্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। খারাপ ডায়েট এবং সঠিক যত্ন ও অবহেলার কারণে ঠোঁটের সৌন্দর্য দিনকে দিন কমে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে চলুন জেনে যাওয়া যাক ঠোঁট গোলাপি করার উপায়, ঠোঁট গোলাপি করার ঔষধ এবং ঠোঁট গোলাপি করার লিপবামসহ সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য।
গোলাপি ঠোঁট কেন দরকারি?
শুরুতেই বলে রাখি গোলাপি ঠোঁট থাকার কিন্তু স্বাস্থ্যগত সুবিধা আছে। অতিরিক্ত কালচে ঠোঁট মানেই অনিয়মের ফল। তবে যাদের ঠোঁট জন্মগতভাবেই কালো তাদের ঠোঁটের এই প্রাকৃতিক সমস্যা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।
তবে ঠোঁট কিন্তু মানবদেহের এমন একটি অংশ যার সৌন্দর্যও অনেকসময় ব্যাক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে। সে-কথা বিবেচনা করে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিকে সাজিয়েছি ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের সাহায্য।
সুতরাং কোনো টিপস মিস করতে না চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ঠোঁট গোলাপি করার উপায়গুলি কি কি?
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখলে ঠোঁটের গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সোজা বাংলায় বেশকিছু টিপস মেনে চললেই কিন্তু আপনিও পেয়ে যাবেন কোমল এবং গোলাটি ঠোঁট।
চলুন তবে আর্টিকেলের এই অংশে এমনকিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেসব টিপস মেনে চললে বেশ দ্রুত সময়ে ঠোঁট গোলাপিবর্ণ ধারণ করবে:
ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন
আপনার ঠোঁটের পেশীগুলিকে নরম এবং কোমল করতে প্রয়োজন সঠিকভাবে ম্যাসেজের। নিয়মিত হালকা ম্যাসেজ করতে পারলে ঠোঁটে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে পরিচালিতা হবে। যা আপনাকে গোলাপি ঠোঁট পেতে সাহায্য করবে।
ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখুন
ঠোঁটে গোলাপি ভাব ফিরিয়ে আনতে বা ধরে রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন এবং তাজা ফল খান। এতে করে আপনার ঠোঁট হাইড্রেটেড থাকবে। ফল হিসাবে শসা, কাঁচা টমেটো এবং তরমুজ ঠোঁটের জন্যে বেশ উপকারী। মনে রাখবেন নিজেকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখার মানেই হল আপনার ঠোঁট ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজড হওয়া।
ধূমপান ত্যাগ করুন
মনে রাখবেন, ধূমপান একটি খারাপ অভ্যাস। যা শুধুমাত্র আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়! বরং এর পাশাপাশি এটি আপনার বাহ্যিক চেহারাকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ধূমপান একইসাথে আপনার দাঁতে কালো দাগ ফেলে এবং আপনার ঠোঁটকে ধীরে ধীরে বিবর্ণ করে তোলে।
সুতরাং আপনি যদি আপনার ঠোঁটের গোলাপিবর্ণ ফিরিয়ে আনতে চান তবে দ্রুত ধুমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
মেকআপ সরিয়ে ঘুমাতে যান
মেকআপ না সরিয়ে কখনোই ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনার সম্পূর্ণ মেকআপ মুছে ফেলুন। আপনার মুখ এবং ঠোঁটের সমস্ত মেকআপ মুছে ফেলতে পছন্দের ব্র্যান্ডের যেকোনো ক্লিনজার বা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন।
পাশাপাশি আপনি চাইলে এই কাজে বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। বলে রাখা ভালো লিপস্টিক লাগিয়ে ঘুমানোর ফলে শুষ্ক, ফাটা ঠোঁটও খু্ব দ্রুত সময়ে বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং মেকআপ না তুলে ঘুমাতে যাওয়া যাবে না।
আপনার ঠোঁট ময়শ্চারাইজ করুন
ঠোঁটকে গোলাপি করার অন্যতম উপায় হলো আপনার ঠোঁটকে সবসময় ময়শ্চারাইজ করা। যতটা সম্ভব সারা দিন তীব্র হাইড্রেটিং লিপ বাম লাগান।
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে ভুলবেন না কিন্তু। এছাড়াও ঠোঁটের সুস্থতা বজায় রাখতে ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
টুথব্রাশ ব্যবহার করুন
গোলাপি ঠোঁট পেতে প্রতিদিন ঠোঁটে টুথব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। যা একটি বিউটি রুটিনের অংশ হিসাবে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে৷ একটি টুথব্রাশ নিয়ে তা পানিতে চুবিয়ে ঠোঁটে হালকাভাবে ঘষে নিন। এভাবে ঠোঁটে টুথব্রাশ ব্যবহার করলে ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বেড়ে যায়। যার ফলে ঠোঁট গোলাপিবর্ণ ধারণ করে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
অনেকেই হয়তো এখন ভাবছেন ঠোঁট গোলাপি করতে গেলে আবার সানস্ক্রিনের প্রয়োজনটা কি? আছে বস! প্রয়োজন এবং সম্পর্কে দুটোই আছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক নিয়মও আপনাকে আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতে সাহায্য করবে।
সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করার পাশাপাশি SPF ১৫ এর উপরে আছে এমন লিপবাম বাছাই করে নিন। আশা করি এই টিপস সূর্যের রশ্মি থেকে আপনার ঠোঁটের ক্ষতি প্রতিরোধ করবে।
রিলেটেডঃ মাথার খুশকি দূর করার উপায়, ১ সপ্তাহে দেখুন ম্যাজিক
ঠোঁট গোলাপি করার প্রাকৃতিক উপায়গুলি কি কি?
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানব ঠোঁট গোলাপি করার বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে।
লেবু ব্যবহার করুন
একটি গবেষণায় দেখা গেছে লেবু একটি স্কিন ব্রাইটনার হিসেবে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে যাদের ঠোঁট অতিরিক্ত পরিমানে কালো তারা লেবু ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লেবুর রস লাগিয়ে রাখতে পারলে! এভাবে টানা ১ মাস লেবুর সাহায্যে ঠোঁটের যত্ন নিতে পারলে ঠোঁটে কালচেভাব দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও যারা লেবু ব্যবহার করে খুব দ্রুত ফল পেতে চান তারা একটি লেবুর টুকরোতে হালকা চিনি মিশিয়ে তা ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর খোসাটি ২ থেকে ৩ মিনিট ঠোঁটে ঘষতে পারেন। আশা করি এই টিপসটি ফলো করতে পারলে ঠোঁটের কালো দাঁগ দূর করতে পারার পাশাপাশি ঠোঁটকে তাজা রাখতে পারাটা সহজ হয়ে যাবে।
ডালিম ব্যবহার করুন
ডালিম হলো বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। বিশেষ করে রঙিন ফল হিসাবে এই ফলের জনপ্রিয় দেখার মতো। এক্ষেত্রে ফলটির দানার রং যেহেতু লাল সেহেতু আপনি চাইলে এটিকেও ঠোঁট গোলাপি করার উপায় হিসাবে কাজে লাগাতে পারেন।
বলে রাখা ভালো ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। যা একত্রে উচ্চ রক্তচাপ, বাতের ব্যাথা, স্তন ক্যান্সার, সেইসাথে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে থাকে।
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দ্বারা ডালিম আপনার ঠোঁটকে পুষ্ট, ময়শ্চারাইজ এবং হাইড্রেটেড করে। সেই সাথে ঠোঁটের রং ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে। সুতরাং ঠোঁটে গোলাপি আভা পেতে ডালিমের রস ব্যবহার করতে পারেন। এই রস দিনে যতবেশি বার ব্যবহার করতে পারবেন ততবেশি ফল ভোগ করবেন।
গোলাপ ফুল ব্যবহার করুন
ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবে পিংকিশ করতে গোলাপ ফুল ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপের পাপড়ি এবং গোলাপ জল ঠোঁটের যত্নে কিন্তু বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। বলে রাখা ভালো এই গোলাপ ফুলের ব্যবহার কিন্তু আপনাকে ৩ দিক দিয়ে উপকৃত করতে হবে। এটি একইসাথে আপনার ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজ করবে, শীতল করবে এবং গোলাপি করবে।
আপনি চাইলে গোলাপ ফুলকে ঠোঁট গোলাপি করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাতে পারেন। চাইলে গোলাপ জলের সাথে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। অথবা গোলাপের পাপড়ি গুড়ো করে তাতে মধু এবং দুধ মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করে তা ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে সর্বমোট ২ বার ব্যবহার করতে পারলেই ৩/৪ মাসে দেখবেন আপনার ঠোঁটে গোলাপি আভা ফুটে উঠেছে।
পাশাপাশি চাইলে কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখা গোলাপের পাপড়ি গুঁড়ো করে মধু এবং জাফরানের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন। আপনার ঠোঁট ময়শ্চারাইজ করার জন্যে কিন্তু এই মিশ্রণটি দারুণভাবে কাজ করবে।
অ্যালোভেরা এবং মধু ব্যবহার করুন
একটি গাছ থেকে এক পিস অ্যালোভেরা কেটে নিয়ে তা থেকে এক টেবিল চামচ সদ্য বের করা অ্যালোভেরা জেল নিন এবং তা মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিটের জন্যে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। সবশেষে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন অ্যালোভেরা এবং মধু উভয়ই আপনার ঠোঁটের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করবে। সেই সাথে এটি ঠোঁটকে নরম এবং গোলাপি করে তুলতে সাহায্য করবে।
রিলেটেডঃ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার, উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
গোলাপি ঠোঁট পেতে কী কী খাওয়া উচিত?
আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি গোলাপি ঠোঁট পেতে চান সেক্ষেত্রে নিচের উল্লেখিত খাবারগুলি খেতে পারেন:
গ্রিন টি: গোলাপি ঠোঁট পেতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার
গ্রিন টি কিন্তু যত্নশীল ঠোঁটের জন্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয়। এতে রয়েছে পলিফেনল উপাদান। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং ঠোঁটের সূর্য দ্বারা ক্ষতি ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এমনকি আপনি চাইলে ট্যান বা পিগমেন্টেশন দূর করতে গ্রিন টি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
মধু: গোলাপি ঠোঁট পেতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার
বলে রাখা ভালো এক চামচ মধু খেয়ে সারারাত ঠোঁটে তা লাগালে আপনার ঠোঁট গোলাপি হয়ে যাবে। কারণ মধুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার ঠোঁটকে বিবর্ণ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
স্ট্রবেরি: গোলাপি ঠোঁট পেতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার
ঠোঁটে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন স্ট্রবেরি। তবে তা শতভাগ বিষমুক্ত হতে হবে। স্ট্রবেরি খাওয়ার পাশাপাশি চেষ্টা করবেন অলিভ অয়েল এবং মধুর সাথে একটি স্ট্রবেরি ব্লেন্ড করে তা ঠোঁটে ব্যবহার করতে। আশা করি এভাবে ১ মাস নিয়ম মেনে চললে দ্রুত আপনার ঠোঁট গোলাপি হয়ে যাবে।
রিলেটেডঃ মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় ২০২৩
ছেলেদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায়গুলি কি কি?
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করবো ছেলেদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে:
- লিপবাম ব্যবহার করার সময় ২/৩ টি স্তর দিন। এতে করে দ্রুত সময়ে ঠোঁট গোলাপি হবে।
- যতটা সম্ভব পিংক লিপবাম ব্যবহার করুন। কারণ অন্যান্য লিপবামের চাইতে এটি খুব দ্রুত ঠোঁটকে গোলাপি করে।
- স্ট্রবেরির শুকনো গুড়ার সাথে পানি মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
- লিপবাম কেনার আগে এর উপাদানগুলি প্রাকৃতিক কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
- অতিরিক্ত ঠোঁট চাটবেন না। কারণ লালাতে অনেক এনজাইম থাকে। তাই এটি সময়ের সাথে সাথে ঠোঁটকে শুষ্ক এবং নিস্তেজ করে দেয়।
- ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল উভয়ই আপনার ঠোঁটের গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনবে।
ঠোঁট গোলাপি করার লিপবামগুলি কি কি?
ভ্যাসলিন লিপ থেরাপি: এই লিপবামটির মূল উপাদান হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। যা আপনার ঠোঁটকে কোমল করে তুলবে এবং ঠোঁটে গোলাপি আভা ফুটিয়ে তুলবে। আর হ্যাঁ! যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারাও এটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাকোয়াফোর হিলিং মলম: আমরা অনেকেই জানি অসহনীয়ভাবে শুষ্ক ঠোঁটই কালচে ঠোঁটের মূল কারণ। এমন সমস্যায় যারা আছেন তারা নিশ্চিন্তে অ্যাকোয়াফোর হিলিং মলম নামের এই লিপবামটি ব্যবহার করতে পারেন।
রোড পেপটাইড লিপ ট্রিটমেন্ট: এই রোড পেপটাইড লিপ ট্রিটমেন্টের সুগন্ধই আপনাকে মুগ্ধ করে ফেলবে। উপকারিতার ব্যাপারে না হয় নাই-বা বললাম! যাইহোক! এই লিপবামটি ব্যবহারে ভালো ফল পেতে খুব বেশিদিনের প্রয়োজন পড়বে না।
রিলেটেডঃ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, সবজি ও ফল ২০২৩
শেষ কথা
আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ার করা ঠোঁট গোলাপি করার উপায়গুলি আপনাকে কিছুটা হলেও উপকৃত করবে। মনে রাখবেন ঠোঁটের যত্নে যতটা সম্ভব রাসায়নিক দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে ঠোঁটের যত্ন নিন। মোটকথা বেশকিছু সংশোধনমূলক ব্যবস্থায় স্থায়ীভাবে আপনার ঠোঁট গোলাপি করা সম্ভব।
FAQs
গোলাপী ঠোঁট কি স্বাস্থ্যকর?
অবশ্যই স্বাস্থ্যকর। আপনার শরীর ও মন ভারসাম্যপূর্ণ হলেই কেবল আপনার ঠোঁট গোলাপি হবে। এছাড়াও এই গোলাপি ঠোঁট জানান দেয় যে আপনার ফিটনেস রুটিন আপনার শরীর এবং বয়সের জন্যে পুরোপুরি সঠিক।
ঠোঁট কেন হঠাৎ করে অতিরিক্ত গোলাপি হয়ে যায়?
স্ট্র্যাটাম কর্নিয়াম নামে ঠোঁটের একটি স্তর রয়েছে। যা জলরোধী স্তর হিসাবে জনপ্রিয়। তাছাড়া এটি ঠোঁটের উপর থাকা খুব পাতলা স্তর হিসাবে কাজ করে৷ এই স্তরে ঠোঁটের মধ্যে বেশি সংখ্যায় থাকা রক্তনালীগুলো বেশি ফুটে উঠলেই ঠোঁট হঠাৎ করেই অতিরিক্ত গোলাপি হয়ে যায়।
অতিরিক্ত গোলাপি ঠোঁট কি বিপজ্জনক?
যদি আপনার ঠোঁটের রঙ হঠাৎ করে বদলে যায় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গোলাপি দেখায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ঠোঁটে এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুতরাং এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লিপবাম কাদের জন্যে অনুপযুক্ত?
লিপবাম মূলত শুষ্ক ত্বক এবং ঠোঁটের জন্যে অনুপযুক্ত। সুতরাং যদি আপনার শুষ্ক ত্বক থাকে তবে এটি ব্যবহার না করাই উচিত। কারণ লিপবামে থাকা কর্পুর শুষ্ক ঠোঁটের জন্যে বেশ ক্ষতিকর।