আসসালামুয়ালাইকুম সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমরা জানি ,খাদ্য আমাদেরকে পুষ্টি দেয়। আর এই পুষ্টি আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেয়ে থাকি। আমাদের পাকস্থলী আমাদের গ্রহনকৃত খাদ্যকে হজম করার মাধ্যমে সেটির পুষ্টি উপাদান আমাদের রক্তে সরবরাহ করে।
অর্থাৎ হজমশক্তির মাধ্যমেই মূলত এই কাজটি হয়ে থাকে। এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের জন্য হজমশক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে আমরা বেশি খাওয়া, হজমশক্তি বৃদ্ধির উপায় ও হজমের সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো।
হজমশক্তি কি?
খাদ্য হজম প্রক্রিয়া পরিচালনা করার ক্ষমতাকেই হজমশক্তি বলে। আমাদের দেহের মানব পরিপাকতন্ত্র খাবার থেকে পুষ্টি ও শক্তি আহরণ করে, দূষিত পদার্থ দূর করে, অবাঞ্ছিত ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে এবং ভিটামিন ও খনিজ দেহে সরবারহ করে।
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত খাদ্যগ্রহণ যেমন জরুরি, তেমনি সেই খাবার হজম হওয়াটাও জরুরি। হজমশক্তি কমে গেলে দেহে পুষ্টির অভাবে নানা ধরণের রোগ বাসা বাঁধা শুরু করে। এজন্য আমাদের উচিত পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখা এবং হজমশক্তি ঠিক রাখা।
হজমশক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য হজমশক্তি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি বাধাগ্রস্ত হলে বা কোনো ধরণের সমস্যা দেখা দিলে পুরো দেহই স্থবির হয়ে পড়তে পারে।
হজমশক্তিতে কোনো সমস্যা হলে দেহে তা নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন- ওজন বৃদ্ধি,ইউরিক এসিড বৃদ্ধি,রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া,লিপিড প্রোফাইল বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
হজম সম্পর্কিত সমস্যা বলতে শুধু গ্যাসের সমস্যা, ডায়রিয়া বা শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যকে বোঝায় না। হজমশক্তি বাধাগ্রস্ত হলে পুরো দেহেই তা বিরূপ প্রভাব ফেলে।
হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না থাকলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি উপাদান সরবরাহ হয় না, যা দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
এ কারণেই হজমশক্তি স্বাভাবিক রাখা এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
হজমশক্তি বৃদ্ধির উপায়:
হজমশক্তি বৃদ্ধি করার বিষয়টি একটু জটিল। কারণ সব মানুষের মেটাবলিসম বা হজমশক্তি এক ধরণের হয় না।একই ধরণের খাবার অনেকে হজম করতে পারে আবার অনেকে পারে না।প্রাকৃতিকভাবে মানুষের যে হজম প্রক্রিয়া রয়েছে তা যথাযথ শক্তিশালী এবং দেহের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু মানুষের কিছু অভ্যাস এবং খাদ্য খাওয়ায় অনিয়ম হজমশক্তিকে দুর্বল করে ফেলে। ফলে দেহে নানা রকম রোগব্যধি সৃষ্টি হয়।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন যাপন এবং পরিমিত খাদ্যাভাস হজমশক্তিকে আরো শক্তিশালী করতে পারে।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন:
হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য সবসময় দেহের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সুষম খাবারের বিকল্প নেই। সুষম খাবারে খাদ্যের ছয়টি মৌলিক উপাদান বিদ্যমান থাকে। এর মাধ্যমে এটি দেহের বিভিন্ন জৈবিক কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারে এবং পাকস্থলীতে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এজন্য নিয়মিত ফল-মূল, শাক সবজি, ডাল ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এসব খাবার হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
তাই নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত হলে হজমশক্তির দ্রুত উন্নতি হবে।
রিলেটেডঃ মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন:
পানি ছাড়া কোনো খাবারই সঠিকভাবে হজম হয় না। দেহের অভ্যন্তরীণ জৈবিক কার্যাবলী সচল রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি পান করা উচিৎ।দেহে পানির অভাবে হজমে সমস্যা হয় এবং শারীরবৃত্তীয় কাজের বিঘ্ন ঘটে।
সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে ফ্যাট এবং সলিউবল ফাইবারগুলো সহজে ডিজেবল হয়ে যায় এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাবার খুব সহজে চলে যায়।
তবে খাওয়ার আগে এবং খাওয়ার মধ্যে অতিরিক্ত পানি পান করা যাবে না। এতে আবার বদহজম হতে পারে।
এছাড়াও বিভিন্ন ফলের জুস,তরল স্যুপ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন।এতে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিবে না।
৩. প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন:
হজমশক্তি বৃদ্ধির একটি সহজ উপায় হচ্ছে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। আঁশ বা ফাইবারযুক্ত খাবার অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খুব সহজে চলে যেতে পারে।
আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, চিয়া সিড, শিম,বাদাম, গমের ভুষি, শস্যজাতীয় খাবার ইত্যাদি। এসব খাবার দেহে পানি শোষনে সহায়তা করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দেয়।
৪. খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট:
পর্যাপ্ত পরিমানে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে তা পাকস্থলির খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে। ফলে খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। কোলাইটিসের মতো ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার পেটের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এক ধরনের হেলদি ফ্যাট যা আলসারেটিভ কোলাইটিস ও পেটের অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাধারণত চিয়া সিড, বাদাম, সালমন, ম্যাকেরল এবং সার্ডাইন জাতীয় মাছ হলো ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রধান উৎস।
তবে মনে রাখতে হবে, ফ্যাটি অ্যাসিড হজমশক্তির জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত ফ্যাট গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ফ্যাট গ্রহন করলে দেহে মেদের সৃষ্টি হবে।
আবার অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার হজম শক্তি কমিয়ে দেয় অর্থাৎ বদহজম তৈরি করে। অস্বাস্থ্যকর চর্বি সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিত স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার গুলো বর্জন করা।
৫. খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন:
হজমশক্তি কমে যাওয়া এবং পেটে নানা রকম সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে খাবার খাওয়ায় অনিয়ম। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার দেরি করে খাওয়া উচিত নয়। রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই থেকে চার ঘন্টা আগে খাবার খেতে হবে এবং খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। খাবার ভালোভাবে সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবেন। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
আবার প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি খাওয়াও ঠিক নয়। এতে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও তেল ও মসলাজাতীয় খাবার খাওয়া অবশ্যই পরিহার করতে হবে। এসব খাবার হজমের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সকলের হজমশক্তি এক রকম নয়। অনেকে মাংস সহজে হজম করতে পারে না। আবার অনেকের দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার সহজে হজম হয় না। তাই নিজের হজমশক্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।
অনেকের অ্যালকোহল ও ধুমপান করার অভ্যাস থাকলে সেটিও পরিবর্তন করতে হবে। অ্যালকোহল ও ধুমপান পেটে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা বদহজম সৃষ্টি করে আলসার এর সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
তাই হজমশক্তি বৃদ্ধিতে দৈনিক খাবারের রুটিন মেনে খাওয়া দাওয়া করা উচিত।
৬. হজমে সহায়ক খাদ্য গ্রহণ করুন:
বেশ কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। সেগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলো–
- হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক খাবার হলো লেবু। প্রতি বেলার খাবারের সাথে লেবু খেলে তা খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে।
- এছাড়া দুধ খাওয়া যেতে পারে। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম,যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। দুধ হজম না হলে তা বাদ দেয়া যাবে অথবা ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ খেতে পারেন।
- দুধের বিকল্প হিসেবে দই ও খাওয়া যেতে পারে। দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- গ্রিন টি অথবা পুদিনা পাতার চা খেলেও হজমশক্তির উপকার হয়। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা হজমের সমস্যা দূর করে।
- হজমের সমস্যা সমাধানে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই আদা রাখুন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও প্রদাহরোধী উপাদান হজমে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি বাড়াতে খেতে পারেন শসা,চিনি,বাঙ্গি, টমেটো, তরমুজ, জাম্বুরা এবং পীচের মতো তাজা ফলমূল ও শাকসবজি। এই ধরনের খাবারগুলো দেহের পানি ঘাটতি পূরণ করে।
- গ্লুটামিন ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এগুলো একধরনের অ্যামিনো এসিড যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- তাজা শাকসবজি ও ফরমালিন মুক্ত খাবার এবং বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।
- চায়ের সাথে এলাচ মিশিয়ে খেলে তা হজমে সহায়ক। এলাচে থাকা ভোলাটাইল তেল বদহজম ও গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দূর করে।
- পান খেলেও হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। পান শরীরের টক্সিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান হয় এবং হার্টও ভালো থাকে।
- পেঁপেও বদহজম থেকে রক্ষা করে। এতে থাকে পাপায়া নামক এনজাইম, যা হজমশক্তি বাড়ায়।
- জিরা পেটের গ্যাস নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক কাজ করে। জিরায় থাকা পুষ্টিগুণ পাকস্থলীর এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- মিষ্টি আলুতে আছে পটাশিয়াম ও প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট যা হজমক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
- কলা উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল যা হজম করা সহজ। বিশেষ করে পাকা কলা হজমে সহায়তা করে।
- গবেষণায় দেখা গেছে সজনে পাতা হজম শক্তিতে খুব উপকারি, তাই বদহজম থেকে রক্ষা পেতে এটি ভর্তা, চা, কিংবা গুরো করে খাওয়া যেতে পারে।
- খাবার খাওয়া শুরু করার আগে জিহ্বাতে অল্প একটু লবণ স্পর্শ করিয়ে খাবার খেলে সেটিও হজমে সাহায্য করে।
- শশাতে থাকে ফ্লেভোনয়েড ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা কমে।
- তুলসি পাতায় থাকে ইউজেনল। যা পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস করতে পারে।যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- ডাবের পানিতে উচ্চ মাত্রায় পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই পানি রিহাইড্রেটিংয়ের জন্যও বেশ কার্যকর। এজন্য বদহজম হলে বেশি করে ডাবের পানি পান করা উচিত।
রিলেটেডঃ সর্দি কেনো হয়? জেনে নিন সর্দি থেকে মুক্তির উপায়
৭. মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকুন:
মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উন্নতি মনের উপর নির্ভর করে থাকে। মন আমাদের শরীরকে কন্ট্রোল করে থাকে। তাই যতটা সম্ভব মনকে চাপমুক্ত রাখতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ হজমশক্তির ব্যাঘাত ঘটায়। এমন সময়ে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে।
যার কারণে শরীরের কর্টিসোল লেভেল বেড়ে যায়। ডায়রিয়া, আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আইবিএস এসব পেটের রোগ হলেও এই রোগগুলো সরাসরি মানসিক চাপের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
মানসিক চাপ এড়াতে নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতে পারেন। এছাড়া কায়িক শ্রম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
তাই সব রকমের মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে পারলে আপনার হজমশক্তি আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।
পরিশেষে
তো বন্ধুরা আশা করি হজমশক্তি বৃদ্ধির উপায়গুলি যদি নিয়মিত অনুসরণ করে তাহলে বদহজম থেকে মুক্তি পাবেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করা খুবই জরুরি। তাই উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলার মাধ্যমে আপনি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি পাবেন একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন।
আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
অনেকে হজমশক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন। নিচে এগুলোর উত্তর দেয়া হলো:-
হজমে দূর্বলতার কারণ কি?
বেশ কিছু কারণে হজমে দূর্বলতা হতে পারে। যেমন- অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন,পুষ্টির অভাব, দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগ ইত্যাদি।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি হজমশক্তি বৃদ্ধির উপায়গুলি মেনে চলতে পারেন, আবার বেশি সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
কোন খাবার হজম করতে কষ্ট হয়?
ভাজাপোড়া ,তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার, মসলাজাতীয় খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার হজম হতে কষ্ট হয়। তাই হজমে সমস্যা দেখা দিলে যত পারা যায় এই জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
বদহজমের লক্ষন কি কি?
বদহজম হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে,যেমন- মল ত্যাগে সমস্যা,পেট ফাঁপা,পেটে ব্যথা হাওয়া ,বমি বমি ভাব বা বমি হাওয়া ,ডায়রিয়া ইত্যাদি।
বদহজম হলে কি করা উচিৎ?
বদহজম হলে ডাবের পানি,কলা,পেঁপে,আদা চা,জিরার পানি এসব খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
হজমের ওষুধের নাম কি?
Diozyme Tablet অন্ত্রের গ্যাস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এজন্য এটি হজমের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।