Skip to content

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো? | ২০২৪

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

আমরা অনেকেই নানা কারণে সন্তান নিতে চাই না, কারো সন্তান আছে তাই নতুন করে বাচ্চা নিতে চাইনা, কারো সময় ও সুযোগের অভাবে বাচ্চা নেওয়া হয়না। আবার অনেকে আছেন কিছুদিন পরে বাচ্চা নিবেন। তো এই সময়টুকুতে বাচ্চা না নিয়ে নিয়মিত স্ত্রী-সহবাস করারটাই হল জন্ম নিয়ন্ত্রণ।

জন্ম নিয়ন্ত্রণের নানা পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি গুলো তখনই কাজ করবে যখন আপনি এগুলোকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবেন। এই লেখাতে আমরা আজ তাই আলোচনা করবো।

লেখা শেষে আপনার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা হবে, এই লেখাতে থাকছে জন্মনিয়ন্ত্রণ কি? জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি কি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত এক আলোচনা।

তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই প্রথমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ কি?

জন্মনিয়ন্ত্রণ কি?

গর্ভধারণ রোধ করার পদ্ধতিকেই মূলত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে। জন্মনিয়ন্ত্রণ হলো কিছু বিশেষ ব্যবস্থা বা পদ্ধতি যেগুলো অনুসরণ করলে গর্ভধারণ রোধ করা যায়। এটি একটি সুষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত উপকারী। আরো সহজ করে বললে, কোন দম্পতী বাচ্চা জন্মদান থেকে বিরত থাকতে যেসব পদক্ষেপ নেয় তাই হলো জন্ম নিয়ন্ত্রণ।

কিন্তু এখনও অনেকেই সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। এসব জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি তখনই কার্যকর হবে যখন এগুলোকে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। আর তা না হলে নানা ঝুঁকি থাকতে পারে 

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত প্রকার?

বর্তমানে অনেক প্রকারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান দুই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হল দীর্ঘমেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও স্বল্প মেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।

দীর্ঘমেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি হিসাবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে, আবার স্বল্প মেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলা হয়।

তো সে যাইহোক, চলুন আমারা প্রথমে জেনে নেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি, তারপর আমরা জানবো জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি ও অস্থায়ী পদ্ধতি সম্পর্কে।

১) কনডম :- 

বর্তমানে কনডম বা বেলুন হলো জন্মনিয়ন্ত্রণের খুব প্রচলিত একটি উপয়া। যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই।

এটি মূলত একটি প্লাস্টিকের পাতলা আবরণ অথবা কাভার ও বলা যায়। যেটি যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গে লাগানো হয়। এটির ফলে বীর্য পুরুষাঙ্গ থেকে যোনীতে প্রবেশ করতে পারে না, যার ফলে প্রেগন্যান্সির কোনো সুযোগ থাকে না। 

এই পদ্ধতিটি জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শতকরা ৮৫% কার্যকর বলে ধারণা করা হয়। 

কনডম_কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা
কনডম | Photo: Canva

২) Spermicide :-  

Spermicide হলো এক প্রকার জেল। যেটিতে থাকা ক্যমিক্যাল শুক্রাণুকে ডিম্বানুর কাছে যেতে দেয়না যার ফলে প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। এটি যৌন মিলনের ১৫-২০ মিনিট আগে যোনী পথে লাগানো হয়।

মিলনের পরেও এটি কিছু সময় যোনীতে রাখতে হয় তারপরেই পরিষ্কার করতে হবে। সাধারণত এই জেলাগুলো ১ ঘণ্টা কিংবা তারচেয়ে কম-বেশি পর্যন্ত কার্যকর থাকে। উক্ত সময় পরে আবার এটি ব্যবহার করেই যৌন মিলন করতে হবে।

Spermicide _ Contraceptive Gel
Spermicide _ Contraceptive Gel | Photo: Canva

৩) Contraceptive Diaphragm:- 

এটি একধরনের গোলাকৃতির কাপ যেটি যোনীপথে লাগানো হয় গর্ভধারণ রোধ করতে৷ এটি মূলত যোনীপথে স্থাপনের ফলে যোনীপথ বন্ধ হয়ে যায় যার ফলে শুক্রাণু যোনীপথ দিয়ে ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছতে পারে না এবং গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে৷ যৌন মিলনের প্রায় ১/২ ঘন্টা আগেই এটি যোনীপথে স্থাপন করতে হবে। 

এবং মিলনের ছয় থেকে চব্বিশ ঘণ্টা পরে খুলে ফেলা যাবে। অধিক নিরাপত্তার জন্য এটির সাথে সাথে Spermicide ব্যবহার করতে পারেন। যদি এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে গর্ভধারণ রোধে এটি শতকরা ৯৪% সফল। 

Contraceptive Diaphragm
Contraceptive Diaphragm | Photo: Canva

৪) Female Condom :- 

ফিমেইল কনডম হলো এক প্রকারের প্লাস্টিকের নমনীয় টিউব যেটির এক প্রান্ত বন্ধ থাকে অন্য প্রান্ত খোলা৷ এটি যোনীপথে স্থাপন করে যোনীপথ বন্ধ করা হয় যার ফলে যৌন মিলনের সময় বীর্য ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না এবং প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা কমে যাবে। 

মিলনের আগেই যোনীপথে এটি স্থাপন করতে হয় এবং মিলনের পর পরই খুলে ফেলতে হয়। ফিমেইল কনডম ব্যবহার করেও শতকরা ২১% মানুষ প্রেগন্যান্ট হয় প্রতি বছর। তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে  ৯৫% কার্যকারী যা বাজারের যেকোন ধরণের পিল কিংবা কিটের থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত।

৫) ইমার্জেন্সি পিল:- 

ইমার্জেন্সি পিল হলো এক প্রকারের ঔষধ যেগুলো নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে খেলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ঝুঁকি রোধে প্রায় ৯৯% কার্যকারী। প্রতিটি ইমার্জেন্সি পিলের রয়েছে সেবনের ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম। 

মূলত সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সেবন করলেই এই ইমার্জেন্সি পিল গুলোর কার্যকরীতা পাওয়া যায়। কিছু কিছু ইমার্জেন্সি পিল আছে যেগুলো প্রতিদিন নিয়মমতো খেতে হয় আবার কিছু আছে যেগুলো শুধু মিলনের আগে কিংবা পরে খেতে হয়। 

সেবনের পূর্ব অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করবেন। 

ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেনঃ ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

জন্ম নিয়ন্ত্রণের অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যার মধ্যে কিছু রয়েছে স্থায়ী আবার কিছু অস্থায়ী। এখন আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণের কিছু স্থায়ী অথবা দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিব। আসুন শুরু করি :- 

ইনজেকশন:- 

ইনজেকশনের মাধ্যমে মানব দেহে কিছু হরমন অথবা ক্যামিক্যাল পুশ করা হয় যে হরমন বা ক্যামিক্যাল গুলো গর্ভধারণ রোধ করতে সাহায্য করে। পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি কখনো করা উচিত নয়। 

অনেক সময় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এ ধরণের হরমোন দেহে প্রোডিউস করা সম্ভব হয়। তবে এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া হওয়ায় ভবিষ্যতে প্রেগন্যান্ট হওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে৷ আবারো বলছি পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি কখনো করা উচিত নয়। 

আযল:- 

মিলনের সময় বীর্য বাইরে ফেলার মাধ্যমে গর্ভরোধ করার প্রক্রিয়াকে আজল বলে। এটি ইসলামি শরীয়া সম্মত একটি উপায়। এই উপায়ে কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার হয়না বলে এটি স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করেনা এবং ভবিষ্যৎ গর্ভধারণে কোন সমস্যা সৃষ্টি করেনা। 

এবং যেহেতু বীর্য যোনীপথে আসতেই পারছেনা সেহুতু গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনাই নেই। তাই এটি একটিকে দীর্ঘ মেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলা যায়। 

Intrauterine Device (IUD):- 

Intrauterine device (IUD) হলো একটি ছোট নমনীয় T আকৃতির যন্ত্র। এটি কপারের তৈরিও হতে পারে আবার প্লাস্টিকের তৈরিও হতে পারে যেখানে প্রোগেসটিন নামক হরমনও থাকে। এই যন্ত্রটি যোনীপথে স্থাপনের করা হয়। তারপরে যখনই যৌন মিলন হয় শুক্রাণু যোনীপথ দিয়ে ডিম্বানুর কাছে যেতে পারে না এবং গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। 

এটি যন্ত্রটি একবার স্থাপনের পরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এটির কোনো মেইনটেনেইস প্রয়োজন হয়না। যার কারনে এটিকে একটি দীর্ঘ মেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলা যায়।

Intrauterine Device
Intrauterine Device | Photo: Canva

স্বল্পমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেশি সময় ধরে কার্যকর নয় তাদের স্বল্পমেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে। এমন কয়েকটি পদ্ধতি হলো :- 

ইমার্জেন্সি পিল:-

ইমার্জেন্সি পিল হলো এক প্রকার ঔষধ যেগুলো জন্ম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যৌন মিলনের আগে অথবা পরে এই ঔষধ সেবন করে গর্ভধারণ রোধ করা হয়৷ একেক ধরনের ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম একেক রকম। এসব ইমার্জেন্সি পিল যেহুতু বেশিক্ষণ কার্যকর থাকেনা তাই এগুলোকে স্বল্প মেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলা হয়।

যেমন বাজারে পাওয়া যায় এমন একটি  ইমার্জেন্সি পিল হল নোরিক্স পিল, যেটা মিলনের ৭২ ঘন্টা বা ৩দিন পর্যন্ত আপনাকে সুরুক্ষা করবে, বিস্তারিত জানতে আমাদের নোরিক্স পিল নিয়ে এই লেখাটি পরতে পারেন। “নোরিক্স পিল খাওয়ার নিয়ম, ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো?

কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো এই প্রশ্নের কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নে। কারন কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকেই ভালো অথবা খারাপ বলা যায় না৷ কিছু পদ্ধতি কারো জন্য অনেক ভালো আবার কারো জন্য খারাপ। 

এটি ব্যাক্তিভেদে নির্ভর করে। তবে আপনার জন্য কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো হবে সেটি বাছাই করার আগে নিচের দেওয়া কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন :- 

  • আপনি পরবর্তীতে কখন (কোন সময়, হতে পারে ১বছর, ৬মাস) প্রেগন্যান্ট হতে চান। 
  • কোন পদ্ধতি গুলো কেমন কার্যকর তা নিয়ে ধারণা রাখবেন। 
  • কোনো পদ্ধতিকে বাছাই করার আগে অবশ্যই তার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিবেন।
  • আপনার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায়  রাখবেন। 
  • আপনি কোন পদ্ধতিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন সেটিকে প্রাধান্য দিবেন। 

উপরোক্ত সকল বিষয়গুলোকে বিবচনায় রেখে আপনি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নির্দারণ করতে পারেন। 

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আমরা আজকে লেখার শেষপ্রান্তে চলে আসছি। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

এই পোস্টে ব্যবহৃত সকল তথ্য নানা অনলাইন সোর্স থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তাই এসব তথ্যের শতভাগ সত্যতা নিয়ে আমরা অনিশ্চিত। 

কোনো তথ্যে অথবা উপস্থাপনায় কোনো রকম ভুল খুঁজে পেলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাদের এ বিষয়ে অবগত করে ভুল সংশোধনের সুযোগ দিবেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত প্রকার?

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে অনেক ভাবেই প্রকারভেদ করা যেতে পারে। মেয়াদের উপর ভিত্তি করে প্রধানত দুই প্রকার দীর্ঘ মেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী।

ইমার্জেন্সি পিল কি নিরাপদ?

ইমার্জেন্সি পিল একটি নিরাপদ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি তখনই হবে যখন আপনি সঠিক নিয়মে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করবেন। 

যদি আপনি ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না মানেন তাহলে সেটি সঠিক ভাবে কর্যাকর নাও হতে পারে তাই সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে নিতে অবশ্যই একজন পেশাদার ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন।

কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেশি নিরাপদ?

সব জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিই নিরাপদ আবার কোনোটিই নিরাপদ না। এই বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থা এবং পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগের উপর। 

যদি আপনি কোনো পদ্ধতি সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে না পারেন তাহলে সেটি কার্যকরও হবে না। তাই আগে নিজের শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় যেগুলো পোস্টে শেয়ার করেছি সেগুলো বিবেচনা করে আপনার জন্য সঠিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বাছাই করুন প্রয়োজনে কোনো পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

Leave a Reply