Skip to content

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম, উপকারিতা ও সহজ পদ্ধতি! | ২০২৪

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম

বেশিরভাগ দম্পত্তির মনে একটি প্রশ্ন থাকে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ। বিশেষ করে মেয়েদের এই প্রশ্নটি বেশি থাকে। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক যৌনতার ইচ্ছা চলে যায়। আবার অনেকে বেশি করে যৌনতায় মেতে উঠতে চান।

এক্ষেত্রে প্রশ্নটা হল গর্ভাবস্থায় যৌনতায় মাতলে অনাগত সন্তানের কোন ক্ষতি হবে কিনা। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বলেন, কারো যদি সুস্থ ,স্বাস্থ্যকর এবং স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা বজায় থাকে তাহলে একটা সময় পর্যন্ত সহবাস করা যাবে।

গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সঙ্গম করা যেতেই পারে এতে অনাগত শিশুর কোন ক্ষতি হবে না। কারণ হচ্ছে গর্ভে থাকা শিশু তলপেট এবং জরায়ুর শক্ত পেশি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এর সাথে শিশুকে ঘিরে থাকে আ্যমনিওটিক থলির তরল। এইজন্য গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।

তবে হ্যাঁ, কিছু নিয়ম মেনে গর্ভাবস্থায় সহবাস করতে হবে। এছাড়া কিছু জটিলতা আছে যা থাকলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে না। চলুন তাহলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়মগুলো জেনে নিই:

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম

অধিকাংশ দম্পতির জন্যই গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ। তবে কিছু কিছু সময় এটি জটিল হয়ে পড়ে। এর কারণ গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মেয়েরা আতঙ্কের মধ্যে থাকে । এ সময় অনেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যে কারণে মেয়েদের সহবাস করার ইচ্ছা থাকে না। তবে এই ঘটনা খুবই কম হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ গর্ভাবস্থায় মেয়েদের পেট বড় হয়ে থাকে। এজন্য সহবাস করার সময় পেটে চাপ পড়তে পারে। সহবাস করতে হলে সহবাস করার সময় বিভিন্ন পজিশন বা অবস্থান পরিবর্তন করে সহবাস করতে হয়।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার কোন সমস্যা না হয়। কারণ আপনার সমস্যা হলে গর্ভের সন্তানের সমস্যা হবে।গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে খেয়াল রাখবেন আপনার সঙ্গী যেন উপরে অবস্থান না করে  ।

এই সময় আপনার পেটের আকার বড় হয়। এজন্য আপনার অস্বস্তি হতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় পেটের  আকার বড় হওয়ার পাশাপাশি স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশের ব্যথা অনুভব হয়। গর্ভাবস্থায় সহবাসে পুরুষ অঙ্গ যদি আপনার শরীরের গভীরে যায় তাহলেও অস্থিরতা ও ব্যথা অনুভব হয়। 

এই জন্য গর্ভাবস্থার সময়ে সহবাসে যেকোনো এক দিক হয়ে সহবাস করার চেষ্টা করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় সহবাস করতে হলে আপনাকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার একটু ভুলের কারণে আপনার পেটের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি / ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল

গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোন সমস্যা নেই । তবে গর্ভাবস্থায় সাধারণ সময়ের মতো আসন ভঙ্গিতে  সহবাস করা যাবে না। কারণেই এ সময়ে মেয়েদের পেট আকারে বড় হয়ে থাকে ও শরীরের ওজন ও বৃদ্ধি পায়। যে কারণে আগের মত সহবাস করা সম্ভব হয় না। আগের মত সহবাস করলে মা ও সন্তান উভয়ের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চলুন গর্ভাবস্থায় কিভাবে সহবাস করবেন:

১) নারী উপরে: 

গর্ভাবস্থায় মেয়েদের পেট বড় হয়ে যায়। এই জন্য এই সময় যদি নারীর উপর পুরুষ থাকে তাহলে নারীর পেটে চাপ পড়বে। যাতে করে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এইজন্য গর্ভবতী অবস্থায় নারী উপরে থেকে সহবাস করা ভালো। 

নারী উপরে থাকলে সেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কতটুকু গভীরতা লিঙ্গ প্রতিস্থাপন হবে। এ অবস্থায়  অধিকাংশ কার্যক্রম নারী ইচ্ছামত ও নিজের সুবিধা মত করতে পারে। এই পজিশনে সহবাস করলে নারীদের ঝুঁকি কম থাকে।

২) এক পাশে কাথ হয়ে শুয়ে: 

গর্ভাবস্থায় নারীরা এক পাশে শুয়ে কাত হয়ে মিলন করতে সাছন্দ বোধ করে। কারণ এভাবে সহবাস করলে পেটে কোন চাপ পড়ে না। এই পজিশনে সহবাস করার নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে নারীকে হাটু ভাঁজ করে একপাশ হয়ে শুতে হবে। 

এরপর স্বামী তার স্ত্রীর পেছনে থেকে সহবাস করবে। ভালোভাবে কাজ করে যদি পুরুষ নারীর উরুর মাঝ দিয়ে লিঙ্গ সঞ্চালন করে। কিন্তু এই সময় আস্তে আস্তে সহবাস করতে হবে। এভাবে সহবাস হলো গর্ভবতী মেয়েদের কোন সমস্যা হয় না।

৩) হাটু এবং হাতে ভর দিয়ে: 

দেখতে হামাগুড়ি দিয়ে হাটার মত। এই পজিশনে শরীরের সম্পূর্ণ ভরা হাঁটু এবং হাতে থাকে। এই পজিশনটি গর্ভবতী মেয়েদের জন্য অনেক আরামদায়ক। এতে পেটে কোন চাপ পড়ে না। এই পজিশনে পুরুষদের সেক্স করতে হয় হাটুর উপর ভর দিয়ে পিছন থেকে। এইজন্য মেয়েদের কোন আঘাত হয় না।

৪) দাঁঁড়িয়ে সহবাস:

গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় সবচেয়ে বেশি খিয়াল রাখতে হয় যেনো পেটে বেশি চাপ না পরে, এই জন্যে সোফা কিংবা চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে সহবাস করা উত্তম, এই স্টাইলে স্ত্রী চেয়ারে ধরে কোমর হালকা একটু বাকা রাখবে, এতে স্বামী পেছন থেকে যোনি দিয়ে সহবাস করবে।

তবে খিয়াল রাখতে হবে যেন বেশি জোরে পেটে ধাক্কা না লাগে।

৫) সোফায় বসে বা শুয়ে:

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতির মাঝে সোফা কিংবা কোন নরম জায়গায় বসে সহবাস করা নিরাপদ একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সহবাস করলে গর্ভবতী মায়ের পেটে চাপ পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।

এই পদ্ধতিতে স্বামী নিচে শুয়ে বা বসে থাকবে, এবং স্ত্রী উপর থেকে স্বামীর লিংগ যোনিতে ডুকিয়ে বসবে। স্বামী নিচ থেকে ধাক্কা দিবে অথবা স্ত্রী এই স্টাইলে উপর থেকে উটাবসা করবে।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

আমরা অনেক সময় কিছু প্রশ্নের উত্তর লোক লজ্জার ভয়ে জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। গর্ভবতী মহিলার সাথে সহবাস করলে সন্তানের কোন ক্ষতি হবে নাকি এই নিয়ে অনেকে ভাবছেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলাদের জন্যই সহবাসে কোন বাধা নেই।

পবিত্র কোরআন এ আল্লাহ তাআলা বলেন,

তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং, তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বিচরণ কর।(সূরা বাকারা-২২৩)

এ আয়াত থেকে বোঝা যায় মুসলিম সম্পত্তিরা যখন দিচ্ছে তখনই সহবাস করতে পারবে। গর্ভাবস্থায় যদি সহবাস করতে চায় সেটি জায়েজ। এতে কোন অসুবিধা নেই। তবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত তাহলো:

স্ত্রীর সাথে আ্যনাল সেক্স করা যাবে না। স্ত্রীর মাসিক চলাকালে সহবাস করা যাবে না। এই দুটি বিষয়কে নিষেধ ঘোষণা করে রাসুল সাঃ বলেছেন,

যে ব্যক্তি মাসিক স্ত্রীর সাথে বা স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করলো বা কবিরাজের কাছে এসে তার কথা বিশ্বাস করে নিল, সে প্রকৃতপক্ষে মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ সবকিছু অস্বীকার করল।

একইভাবে ইহরাম ও রোজা অবস্থায় সহবাস নিষিদ্ধ। এছাড়া অন্য সব সময় সহবাস বৈধ। এই জন্য গর্ভাবস্থায় সহবাসে কোন আপত্তি নেই। এটি বৈধ বলে বিবেচিত হয়। 

এছাড়া অনেকেই মনে করেন দাঁড়িয়ে কিংবা উলঙ্গ হয়ে সহবাস করা ইসলাম বহিবৃত্ত, মূলত এইটা একটি ভূল ধারণা, গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়মের মাঝে এমন কোন শক্ত হাদিস কিংবা রেফারেন্স নাই যেখানে বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে কিংবা উলঙ্গ হয়ে সহবাস করা যাবে না।

শুধু উপরে উল্লেখিত নির্দিষ্ট কিছু সময়, যেমন মাসিক, রোজা, পায়ুপথে সহবাস ছাড়া সব এঙ্গেলে সহবাস করা যাবে। তবে স্ত্রীর যোনী চোষা কিংবা স্বামীর লিঙ্গ চোষা নিয়ে আলেমদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

গর্ভাবস্থায় সহবাসের পূর্বে কিছু কথা জেনে নেওয়া জরুরী

১) গর্ভাবস্থায় যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে, প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে শিশুটি গর্ভে থাকাকালীন আপনি সহবাস করতে পারবেন।

২) সহবাসের সময় স্বাভাবিক নাড়াচাড়া ভ্রনের কোন প্রকার ক্ষতি করে না। ভ্রনটি জরায়ুর শক্ত পেশি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।

৩) কিছু নিয়ম মেনে সহবাস করলে কোন বিপদের আশঙ্কা থাকেনা।

৪) শিশুকে একটি আ্যমনিওটিক থলিতে রাখা হয়েছে যা তাকে রক্ষা করে।

৫) সার্ভিক্স একটি মিউকাস প্লাগ দ্বারা সিল করা হয় যা শিশুকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। 

৬) যৌন মিলনের সময় পুরুষের যৌনাঙ্গ নারীদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে এটি ভ্রুনের কাছে পৌঁছাতে পারে না তাই কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৭) মিলনের বড় অর্গাজম শিশুর নাড়াচাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। এর কারণ অর্গাজমের পর আপনার হার্টবিট বেড়ে যায়, তবে এক্ষেত্রে শিশুর কোন অসুবিধা হয় না।

৮) জরায়ুর পেশিতে হালকা সংকোচন ঘটতে পারে।

৯) গর্ভাবস্থায় যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তাহলে সহবাসে কোন ক্ষতি নেই। এর ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা নেই। তাই কোন প্রকার সমস্যা না থাকলে সহবাস করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা বাচ্চা কিংবা মায়ের জন্যে কোন হুমকি না, বরং গর্ভাবস্থায় সহবাস করার রয়েছে অনেক উপকারিতা, তারমধ্যে উলেখ্যযোগ্য উপকারিতা হলো;

  • গর্ভাবস্থায় মেয়েদের বা মহিলাদের শরীরে রক্তসঞ্চালন বেশি হয়ে থাকে, ফলে অর্গাজম বা চরম পুলকের বেশি সম্ভাবনা থাকে, সাধারণত গর্ভাবস্থা ছাড়া এই অর্গজমের দেখা পাওয়া অনেক সময় ও সাধ্যের ব্যপার।
  • গর্ভাবস্থায় সহবাসের ফলে শরীরের চর্বি কমতে সাহায্য করে, ফলে স্বামী স্ত্রী দুজনেরেই শরীর সুস্থ থাকে।
  • নিয়মিত সহবাস স্বামী স্ত্রীকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসে, গর্ভাবস্থায় বিরতি দিয়ে সহবাস করলে দুজনের মধ্যে দুরুত্ব বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এই সময়ে সহবাস শরীরের ইমিউনিউ সিস্টেম উন্নত করে।
  • গর্ভাবস্থায় অর্গাজম বা চরম পুলক হলে বাচ্চা ও মা দুজনেই অনেক খুশি থাকে

রিলেটেডঃ অর্থসহ সহবাসের দোয়া, বাংলা ও আরবি ২০২৩

গর্ভাবস্থায় সহবাসে বাচ্চার ক্ষতি করে কি?

গর্ভাবস্থায় যদি নিয়ম মেনে সহবাস করতে পারেন তাহলে তেমন কোন সমস্যা নেই। এই সময় সহবাস করলে গর্ভপাত হওয়া বা সময়ের আগে সন্তান প্রসবের কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে সহবাস করলে জরায়ুতে মৃদু সংকোচন অনুভব হতে পারে।

এরকম হলে জরায়ুর পেশিগুলো শক্ত হয়ে যাচ্ছে বা টান খাচ্ছে বলে মনে হতে পারে একে ডাক্তারি ভাষায় Braxton Hicks Contractions বলে। এ সময়ে সহবাস করলে সন্তানের তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে এতে করে আপনার ব্যাথা অনুভব হতে পারে কিন্তু এটা প্রসবের ব্যথা নয়। তবে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে কোনো কারণ ছাড়াই বিভিন্ন সময়ে ব্যথা হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় এটি সাধারণ ব্যাপার। কোন কাজ করলে এই সমস্যাটা হতে পারে ।এমন হলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তবে গর্ভবতী অবস্থায় ভারী কাজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

কখন সহবাস এড়িয়ে চলবেন ?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে তেমন একটা সমস্যা হয় না। তবে এই সময়টাতে সহবাস না করাটাই ভালো। এতে আপনি এবং আপনার সন্তানও উভয় সুস্থ থাকবে। চলুন জেনে নেই কখন সহবাস এগিয়ে চলবেন:

১) গর্ভবতী অবস্থায় যদি জরায়ুর মুখে কোন জটিলতা থাকে।

২) গর্ভবতী অবস্থায় যদি মাসিকের রাস্তা দিয়ে চাপ হয়ে থাকে।

৩) পূর্বে গর্ভপাত হয়ে থাকলে।

৪) ডাক্তার যদি প্রেগনেন্সিতে গর্ভপাতের সম্ভাবনা উল্লেখ করে তাহলে।

৫) এর আগেও যদি প্রেগনেন্সির নির্ধারিত সময়ের আগে সন্তান হয়ে থাকে।

৬) একই সাথে জমজ বাচ্চা থাকলে।

৭) গর্ভফুল যদি নিচে নেমে আসে অথবা কোন কারনে রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে।

৮) যদি মাঝে মাঝে প্রসবের আগে পানি ভাঙ্গে।

কি কি কারনে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবেনা?

সাধারণত গর্ভাবস্থায় সহবাস না করার অনেকগুলো কারণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো গর্ভাবস্থায় যদি সহবাসের সঠিক নিয়ম না মানা হয় তাহলে ধাক্কা লাগতে পারে এ সময় গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সহবাসের কারণে পেটে ব্যথা ও হালকা রক্তপাত হতেই থাকে। এছাড়াও সঠিক নিয়মের যদি সহবাস না করা হয় গর্ভপাত না হলেও সেসব বিকলাঙ্গ জন্মাতে পারে।

যৌনাঙ্গ যদি বেশি রক্তক্ষরণ হয় তাহলে গর্ভকালীন সময়ে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভের ফুল/অমরা যদি জরায়ুর মুখে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখে তাহলে যৌন মিলনের কারণে রক্তপাত বা প্রসব পূর্ব ব্যথা হতে পারে। যদি ডাক্তার আপনাকে গর্ব অবস্থায় যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে বলে তাহলে ডাক্তার কি বোঝাতে চাচ্ছে তা জেনে নিন।

যদি কোন নারীর গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প পরিমাণে রক্তপাত হয় তবে ডাক্তাররা বলতে পারেন যে শেষ রক্তপাতের পরে অত্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য তাদের সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

রিলেটেডঃ স্বপ্নে নিজের বিয়ে দেখলে কি হয়? বিয়ে, তালাক, সহবাস, যিনা স্বপ্নে দেখার ইসলামি ব্যাখ্যা

পরিশেষে

কোন প্রকার শারীরিক জটিলতা না থাকলে গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস করা যাবে। এক্ষেত্রে গর্ভের সন্তানের কোন ধরনের সমস্যা হবে না। তবে এই সময় সহবাসের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

এই সময়ে একটি ভুল অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। গর্ভবতী অবস্থায় মেয়েরা অনেক ঝুঁকিতে থাকে। একটু ভুলের কারণেই গর্ভের সন্তান এবং মায়ের মৃত্যু হতে পারে। এইজন্য এই সময়টাতে সহবাসের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা একান্তই জরুরী।

তো বন্ধুরা, এই ছিলো আজকে আমাদের লেখা গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম, ও গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। এই লেখা নিয়ে যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Reply