আমাদের ছোট বেলার সবার প্রিয় কবিতা হল চল চল চল কবিতা, খুব কম মানুষ আছে যারা চল চল চল কবিতাটি পছন্দ করেন না, আজকের লেখায় আমরা আমাদের সেই ভালো লাগার কবিতাটি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি যারা চল চল চল কবিতাটি খোজতেছেন তাদের উপকারে আসবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
চল চল চল কবিতা
চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্।
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্।।
ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটাব তিমির রাত,
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল!
চল রে নও-জোয়ান,
শোন রে পাতিয়া কা-
মৃত্যু-তরণ-দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহবান।
ভাঙ রে ভাঙ আগল,
চল রে চল রে চল
চল চল চল।।
ঊর্ধ্ব আদেশ হানিছে বাজ,
শহীদী-ঈদের সেনারা সাজ,
দিকে দিকে চলে কুচ-কাওয়াজ-
খোল রে নিদ-মহল!
কবে সে খেয়ালী বাদশাহী,
সেই সে অতীতে আজো চাহি’
যাস মুসাফির গান গাহি’
ফেলিস অশ্রুজল।
যাক রে তখত-তাউস
জাগ রে জাগ বেহুঁস।
ডুবিল রে দেখ কত পারস্য
কত রোম গ্রীক রুশ,
জাগিল তা’রা সকল,
জেগে ওঠ হীনবল!
আমরা গড়িব নতুন করিয়া
ধুলায় তাজমহল!
চল চল চল।।
চল চল চল কবিতা লিরিক্স
চলচল কবিতাটিকে ১৯৭২ সালের ১৩ ই জানুয়ারী বাংলাদেশের রণসংগীত হিসাবে নির্বাচন করা হয়, এবং যেকোন সামরিক অনুষ্ঠানে এই রণসংগীতের ২১ লাইন বাজানো হয়, চলুন দেখে নেই চল চল চল কবিতার বাংলা লিরিক্স বা নজরুল গীতিটি
চল্ চল্ চল্
ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্ ।।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটিব তিমির রাত
বাঁধার বিন্ধ্যা চল।।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশশ্মান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।।
চলরে নওজোয়ান,
শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু তোরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহ্বান
ভাঙ্গরে ভাঙ্গ আগল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্।।
চল চল চল কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
চল চল চল কবিতাটি ১৯২৮ সালে প্রথম শিখা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, পড়ে সেটি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের “সন্ধ্যা” নামক কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করা হয় হয়।
Tag: chol chol kobita, কাজী নজরুলের ছোট কবিতা, চল চল চল কবিতার সারমর্ম, চল চল চল পুরো কবিতা