Skip to content

দুধ খাওয়ার দোয়া | ২০২৪

দুধ খাওয়ার দোয়া

দোয়া হাঁটা, বসা, শোয়া সর্বাবস্থায় করা যায়। তবে দোয়ার অন্যতম আদব হচ্ছে আল্লাহর কাছে হাত তুলে ভিক্ষা মাগা। দু’হাত জোড় করে সীনা বরাবর এমন ভঙ্গিতে হাত তুলতে হবে, যাতে বুঝা যায়- আমি আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছি, তিনি দিচ্ছেন আর আমি হাতের আঁজলা ভরে নিচ্ছি। দোয়া শেষ হলে আল্লাহর দেয়া নেয়ামত ও রহমত এক জায়গায় রাখতে হবে। 

সেই জায়গা কোথায়? সেই জায়গা হচ্ছে আমার দু’নয়ন, আমার মুখমন্ডল। মোনাজাত শেষে আমরা চোখে মুখে হাত বুলাই। তাতে উদ্দেশ্য থাকে, রব্বুল আলামীন দয়া করে আমাকে যা কিছু দিয়েছেন আমি আমার চোখের ওপর রাখলাম, আমার চোখে-মুখে তথা সর্বাঙ্গে মেখে নিলাম।

হযরত ইবনু আব্বাস (রা)-এর বর্ণনায় রয়েছে: হুজুর বলেছেন: “তোমরা আল্লাহর নিকট তোমাদের হাতের তালু দ্বারা মাগবে, হাতের পিঠ দ্বারা তাঁর নিকট কিছু মাগবে না । আর যখন তোমরা দোয়া শেষ করবে তখন তোমাদের হাত তোমাদের চেহারায় মুছবে।” -(আবু দাউদ-এর বরাতে মিশকাত, হাদীস নং-২১৩৭)

হযরত সালমান ফারসী (রা) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “তোমাদের প্রতিপালক লজ্জাশীল ও পরম দাতা; যখন তাঁর বান্দা তাঁর নিকট দু’হাত উঠায় তখন তা খালি ফেরত দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন৷” -(তিরমিযী, আবু দাউদ, বায়হাকীর বরাতে মিশকাত, হাদীস নং- ২১৪৮)

তো আল্লাহর অশেষ মেহরবানি পেতে বেশি বেশি দোয়া পড়ার বিকল্প নাই, সে জন্যে নিয়ে আসলাম আজকে দুধ খাওয়ার দোয়া, দুধ পান করার সময় আল্লাহর নিকট যে দোয়া করা হয় সেটি হচ্ছে দুধ খাওয়ার দোয়া, এই লেখাতে তার বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ সহ সব থাকবে। তাহলে চলুন দেখে নেই দোয়াটি।

দুধ খাওয়ার দোয়া

বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বা-রিক্ লানা ফীহি ওয়া ঝিদ্‌না মিনহু ।

বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি করে দিন’। তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৮০৯৮

দুধ খাওয়ার দোয়া
দুধ খাওয়ার দোয়া

মানুষ মন খুলে আল্লাহর কাছে সব কথা বলবে, অনুনয় বিনয় করবে, নাছোড়বান্দা হয়ে চাইতে থাকবে-এটিই দোয়ার নিয়ম। 

অনেক সময় এই চাওয়ার বিষয়, ভাষা, বা ভাবের ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যেতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে নিরাপদ হল মনের কথাগুলো নবী রাসূলগণের (আ) ভাষায় ব্যক্ত করা। তাতে একটি বাক্যে বা শব্দে অনেক ভাবার্থ নিহিত থাকে। 

ফলে এক সাথে অনেক কিছু চাওয়া সম্ভব হয় এবং চাওয়ার সময় ভুলত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই আল্লাহর নবী রাসূলগণের (আ) ভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারা বড়ই সৌভাগ্যের ব্যাপার।

তো বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই বিদায়, যদি দুধ খাওয়ার দোয়াটি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Reply