অনেক সময় আমাদের পায়ের মাংসপেশীতে প্রচন্ড পরিমানে ব্যথা হওয়া শুরু করে। মাংসপেশীতে এই ব্যথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। বিভিন্ন কারণে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে।
পায়ের মাংসপেশির শক্তি কমে গেলে, অতিরিক্ত কাজ বা ট্রেনিং করলে কিংবা কোনো কারণে মাংসপেশিতে আঘাত লাগলে, মাংসপেশী থেতলে গেলে কিংবা আংশিক পরিমাণে ছিড়ে গেলে ব্যথা হওয়া শুরু হয়। আরো নানা কারণে এ ব্যাথা দেখা দিতে পারে।
অনেক সময় নির্দিষ্ট কোন রোগে নির্দিষ্ট স্থানের মাংসপেশীতেও প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়। মাংসপেশীতে ব্যথা হওয়া শুরু করলে ভয়ের কোন কারণ নেই। স্বল্প চিকিৎসাতেই এ ব্যথা দূর করা সম্ভব। রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
আমরা আজ আপনাদেরকে জানাবো পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়। তাই আর দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথার কারণ
কয়েকটি কারণে পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে। চলুন পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথার কারণ গুলো সম্পর্কে:
১) খেলাধুলা , শারীরিক পরিশ্রম,ও ব্যায়ামের আগে ওয়ার্মআপ না করলে।
২) শরীরের নির্দিষ্ট কোন একটি মাংসপেশী অনেকক্ষণ ধরে ব্যবহৃত হলে।
৩) হঠাৎ করেই অধিক পরিশ্রম করলে।
৪) পেশি ক্লান্ত থাকা অবস্থায় হঠাৎ নাড়াচাড়া করলে।
৫) ভারী কিছু উঠালে।
৬) দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থাকলে।
৭) পেশির অতিরিক্ত ব্যবহার করলে।
৮) শরীরে যদি পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের অভাব দেখা দেয় তাহলে মাংসপেশীতে টান পড়ে।
৯) অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস থাকলে। বিশেষ করে পানি কম খেলে।
মাংসপেশীতে ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা
বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার তথ্য মতে, যদি মাংসপেশীতে ব্যথা হয় তাহলে প্রথম কয়েকদিন ৪টি ধাপে চিকিৎসা করতে হবে। একে রাইস থেরাপি বলা হয়। রাইস থেরাপির মাধ্যমে ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। মাংসপেশিতে টান পড়লে রাইস থেরাপি প্রয়োগ করা হয়।
রাইস থেরাপি চারটি ধাপ:
১)R-Rest-বিশ্রাম।
২)Ice-বরফ।
৩)C-Compression-কম্প্রেশন বা চাপ।
৪)E-Elevation-উঁচু করে রাখা।
১) R-Rest-বিশ্রাম:
সকল ধরনের ব্যায়াম বা শারীরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কোন ওজন নেওয়া যাবে না।
২) Ice-বরফ:
২০ মিনিটের জন্য আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কয়েক ঘন্টা পর পর বরফের ব্যাগ দিয়ে রাখুন।
৩) C-Compression-কম্প্রেশন বা চাপ:
ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন আঘাত প্রাপ্ত স্থানটি যাতে নাড়াচাড়া কম হয়।
৪) E-Elevation-উঁচু করে রাখা:
আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি যতটা সম্ভব উঁচু করে রাখুন ,এজন্য বালিশের উপরে দিয়ে রাখতে পারেন।
পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়
এবার চলুন দেখে নেই পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায় ও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে।
১) ঠান্ডা পানির সেঁক:
ব্যথা অতিরিক্ত হলে ঠান্ডা পানির সেঁক দিতে পারেন। এটি আপনার পেশীর টান কমিয়ে পেশি কে রিল্যাক্স হতে সাহায্য করবে। এর জন্য একটি কাপড়ে চার পাচ টুকরা বরফ দিয়ে মুড়িয়ে নিন। এবার কাপড়টি দিয়ে ব্যথাযুক্ত মাংসপেশীতে সেঁক দিন। এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রাখুন। ২ ঘন্টা পর পর এই একই কাজটি করুন।
২) আপেল সিডার ভিনেগার:
মাংসপেশীতে ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে দেহে পটাশিয়ামের অভাব। আপেল সিডার ভিনেগার এ আছে উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম। এছাড়াও আছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা শরীরের তরলের ভারসাম্য করে থাকে যা ডিহাইড্রেশন রোধ করে।
এর জন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এটা নিয়মিত পান করুন।
এছাড়াও রাতে পেশি টান প্রতিরোধ করার জন্য, আধা গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ,এক চামচ মধু ও এক চা চামচ ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আধা ঘন্টা আগে এটি পান করুন।
৩) লবঙ্গের তেল:
লবঙ্গ তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা শরীরের পেশী টান ও পেশীর ফোলাভাব দূর করে। এইজন্য লবঙ্গের তেলকে হালকা গরম করে নিন এবার পেশী টানের স্থানে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করন। ব্যথা না কমলে এই ম্যাসাজ আবার করুন।
৪) হলুদ সরিষা:
হলুদ সরিষাতে আছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড যা কয়েক মিনিটের মধ্যে পেশী টান ভালো করে দিতে পারে। এক চামচ সরিষা খান। চাইলে এটি গরম দুধের সাথেও খেতে পারেন।
৫) পানি পান:
পেশী টানের প্রধান ও অন্যতম কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। যখনই পেশীতে টান পড়বে তখন এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের অভ্যাস করুন। ব্যায়াম করার পর যদি পেশীতে টান পড়ে তবে ব্যায়াম শুরু করার দুই ঘন্টা পূর্বে কয়েক গ্লাস পানি পান করুন।
পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা এড়াতে কি করবেন?
১) যেকোনো ভারী কাজ করার আগে বা ব্যায়াম করার আগে ওয়ার্মাআপ বা শরীর গরম করে নিবেন।
২) নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
৩) দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা লাগে এমন কাজ করলে কয়েক ঘন্টা পর পর উঠে একটু হাটাহাটি করতে হবে।
৪) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা দূর করার ব্যায়াম
১) গোড়ালির ব্যায়াম:
একটা চেয়ার নিন এবার চেয়ারের পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে চেয়ারে হাত রেখে এক পা পিছনের দিকে তুলুন। এরপর চেয়ারের উপর ভর দিয়ে অন্য একটি পা গোড়ালি থেকে ধীরে ধীরে তুলুন এবং পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ান এভাবে কয়েক সেকেন্ড রাখুন।
ঠিক একই নিয়মে অন্য পায়ে অভ্যাস করুন। দুই পায়ে এভাবে ২০ থেকে ৩০ বার করার অভ্যাস করুন। এই ব্যায়াম আপনার পায়ের গোড়ালি এবং হাঁটুর পেশী শক্তিশালী করে তুলবে।
২) বুড়ো আঙ্গুলে হাটা:
এই ব্যায়াম টি যেকোন সময় যে কোন জায়গায় করতে পারেন। অন্য যেকোনো কাজ করার সাথে সাথে আপনি করতে পারেন যেমন যে কোন কাজ করার সাথে সাথে বুড়ো আঙ্গুলে ভর দিয়ে হাঁটতে পারেন।
তবে বুড়ো আঙ্গুল ভর দিয়ে স্বাভাবিক গতির চেয়ে একটু জোরে হাঁটতে হবে অত্যন্ত 10 থেকে 15 মিনিট। এভাবে হাটুর পিছনে পেশী শক্তিশালী হয়।
৩) গোড়ালি ঘোরানো ব্যায়াম:
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর এক পা সমান্তরাল ভাবে সামনের দিকে দিয়ে উঁচু করুন। এবার আস্তে আস্তে পায়ের গোড়ালি চারিদিকে ঘুরান। এভাবে বাহিরের দিকে ১০ বার ও ভেতরের দিকে ১০ বার ঘুরান। গোড়ালির ব্যথা ও দুর্বলতা দূর করতে এই ব্যায়াম বেশ কার্যকরী।
৪) রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং:
এ ব্যায়াম করার জন্য সর্বপ্রথম একটি রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এর প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড না থাকলে বড় মোজা বা লেগিনস কাজে লাগাতে পারেন। রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডের একটি প্রান্ত শক্ত কোন কিছুর সঙ্গে বাঁধুন। মেঝেতে বসার পর একটি বা অন্য একটি পায়ের নিচে রাখুন।
এবং নিজের পা-হাটো থেকে ভেঙে উপরে তুলুন। এখন উপরের পায়ের পাতা রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডের ভিতরে ঢুকিয়ে রেজিস্টেন্স ব্যান্ডেটি নিজের দিকে টানুন। ঠিক একই ভাবে অন্য পা দিয়ে করন। এভাবে দুই পায়ে ১৫ থেকে ২০ বার করুন।
৫) বুড়ো আঙ্গুলের ব্যায়াম:
মেঝেতে এক টুকরো কাপড় রাখুন এবার বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সেই কাপড়কে তোলার চেষ্টা করুন। ঠিক কাপড়ের মত করে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মার্বেল তোলার চেষ্টা করুন।
৬) পায়ের নিচে বল রেখে হাটা:
প্রথম একটি চেয়ারের উপর বসুন এবার একটি টেনিস বল এক পায়ের নিচে দিন। এবার পায়ের পাতার সাহায্যে বলটি সামনে পিছনে নিন। পায়ের তালু অগ্রভাগের ব্যথা দূর করতে এই ব্যায়াম বেশ কার্যকর।
৭) আকুপ্রেসার এবং পা মাসাজ:
সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্ত দুই পায়ে আরাম পেতে এই মাসাজ বেশ কার্যকর। এজন্য পায়ের আঙ্গুলের ঠিক উপরে দুই হাত দিয়ে হালকা করে চেপে ধরে মাসাজ করুন। দুটি পায়ে অত্যন্ত ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মেসেজ করুন বেশ উপকার পাবেন।
পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথার চিকিৎসা:
পেশীর ব্যথার চিকিৎসা সাধারণত প্রাথমিকভাবে ব্যথার মূল কারণ এবং যেখানে পেশীর ব্যাথা হচ্ছে সেখানকার অবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে। আঘাতের কারণে পেশীর ব্যথা হলে চিকিৎসকরা শারীরিক কার্যক্রমে বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে ক্রাচ অথবা ব্রেসের মতো উপকরণ ও ব্যবহার করা হতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নিই মাংসপেশীরতে ব্যাথার চিকিৎসা গুলো:
১) পেশীতে টান ধরলে এবং পেশীতে বেশি যন্ত্রণা হলে মাসল রিল্যাক্স্যান্ট ব্যবহার করতে বলা হয়।
২) বিভিন্ন ধরনের নন-স্টেরোডিয়াল আ্যন্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ যেমন, ডাইক্লোফেনিক ও আইব্রোপেন ব্যবহার করা হয়। ফার্মেসিতে পাওয়া ব্যথার ওষুধ সীমিত সময়ের জন্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এই ওষুধগুলো প্রদাহ বা ফোলা কমায়। পায়ে আঘাত জনিত কারণে ব্যথা হলে এই ওষুধগুলো প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আপনি যদি কোন রোগে ভোগেন তাহলে প্রায়ই ব্যথা কমানোর ওষুধ স্থায়ী ফল দিবে না।
৩) পেশীর ব্যথা কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে হিটিং প্যাড ব্যবহার করা। পেশীতে টান ধরলে বা অতিরিক্ত ব্যথা করলে ব্যথা কমানোর জন্য হিটিং প্যাড এবং হট ওয়াটার বোতল ব্যবহার করা হয়। পেশীর যে স্থানে ব্যাথা সেই স্থানে দিনে এক বা একাধিক বার হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে হবে।
৪) সাময়িকভাবে পেশীর ব্যথা কমাতে প্রায়শই মলম ব্যবহার করা হয়। এই মলমগুলোতে যে ওষুধ থাকে তা ত্বকের মধ্যে শোষিত হয়ে যায় এবং ত্বকের নিচে ফোলা কমিয়ে আরাম দেয়। হালকা এবং মাজারী ধরনের পেশীর ব্যাথা হলে এই মলম গুলো খুব ভালো কাজ করে।
৫) ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এর চিকিৎসার জন্য একসাথে ফিজিওথেরাপি, ব্যায়াম এবং যন্ত্রণা নিরোধক ঔষধ দেওয়া হয়। আর যদি এই সকল চিকিৎসা কাজে না আসে তাহলে অস্ত্র পাচারের প্রয়োজন হয়।
৬) ফাইব্রমায়ালজা হলে তার চিকিৎসার জন্য, ফিজিওথেরাপি, সাইকোলজিকাল থেরাপি, এর সাথে যন্ত্রণা নিরোধক ওষুধ দেওয়া হয়।
পায়ের মাংসপেশীতে কেন অস্বাভাবিক ব্যথা হয়?
১) মানসিক চাপ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ পেশীর উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমনের কারণে এই পেশী ব্যথার সঙ্গে লড়াই করা মুশকিল হয়ে যায়। যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে তাদের শরীর সব সময় ক্লান্ত থাকে সাথে থাকে পেশি ব্যথাও।
এর কারণ হচ্ছে তাদের শরীর পেশীর উপরে ধকল সামলাতে হিমশিম খায়। এজন্য অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা মানুষদের পেশী ব্যথার কারণ মানসিক চাপ।
২) পুষ্টির অভাব:
খাবার থেকে যে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় এর গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। এই উপাদানগুলো হাড় কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য বেশ উপকারী ভিটামিন ডি হারকে শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
৩) পানির অভাব:
পানির অভাবে পেশী ব্যথা হয় । তাই বলা হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি খাওয়া উচিত এর অন্যতম কারণ হচ্ছে পেশী ব্যাথা থেকে মুক্তি। আমাদের শরীরে মৌলিক চাহিদা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পানি। পানির অভাবে শুধু পেশি ব্যথা নয় অন্যান্য আরো রোগ হতে পারে।
৪) ঘুমের অভাব:
ঘুমের অভাব পেশী ব্যথা হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। পেশীর সারা দিনের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম অত্যন্ত জরুরী। আর তা না হলে ক্লান্তি ও অবসাদ ঘিরে ধরবে, মানসিক চাপের সৃষ্টি হবে, আর পেশী ব্যথা সহ অন্যান্য রোগের সৃষ্টি হবে।
৫) রোগ:
বাত,রক্তশূন্যতা,ডার্মাটোমায়োসাইটিস,লুপাস,লাইম,ফাইব্রোমায়ালজিয়া, ইত্যাদি রোগের কারণে বেশি ব্যথা হতে পারে। আপনার পেশি ব্যাথা দীর্ঘ দিন হলে অবহেলা না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
সবশেষে
মাংসপেশীর ব্যথাকে অবহেলা না করে এর সঠিক চিকিৎসা করুন। যদি দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
আর উপরে বলা পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়ের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মাংসপেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের লেখা পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানো কারণ, পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত লেখা।
এই লেখা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।