Skip to content

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও ফজিলত | ২০২৪

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। নামাজ মুসলিমদের জন্য একটি অন্যতম ইবাদত। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আরও কিছু বিশেষ নামাজ রয়েছে যা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিকভাবে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সেসকল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আরো প্রিয় হয়ে ওঠতে পারবো। এমনি একটি নামাজ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজ একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আজ আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত, প্রোয়জনীয় দোয়া এবং এর ফজিলত সম্পর্কে। 

তাহাজ্জুদ নামাজ: 

তাহাজ্জুদ (تهجد‎‎) একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ ঘুম থেকে জাগা বা রাত জাগরণ করা, শরীয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গভীর রাতে নিদ্রা ত্যাগ করে যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে তাহাজ্জুদ নামাজ বলে। এই নামাজকে ‘সালাতুল লাইল’ বা ‘কিয়ামুল লাইল’ নামাজও বলা হয়।

এটি একটি নফল ইবাদত। ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব ধরনের নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে বেশী। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়, তবে আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না। 

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়: 

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় শুরু হয় এশার নামাজ আদায়ের পর এবং রাতের শেষ ভাগ পর্যন্ত এর সময় থাকে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় রাতের শেষ অংশে অর্থাৎ ফজরের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। অর্থাৎ রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের সময় শুরুর আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সময় থাকে। ফজরের নামাজের সময় শুরু হলে তাহাজ্জুদের সময় শেষ হয়ে যায়।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য মসজিদে আলাদাভাবে আযান দেওয়া হতো। এখনো পবিত্র মক্কা ও মদিনায় হারামাইন শরিফাইনে তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য আজান দেয়া হয় এবং অতি গুরুত্বের সাথে তা আদায় করা হয়।

নামাজ আদায়
ফটোঃ নামাজ আদায় (Photo By Canva.com)

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত?

তাহাজ্জুদ নামাজ ২ থেকে ১২ রাকআত পর্যন্ত আদায় করার বর্ণনা পাওয়া যায়। আমাদের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ওয়াসাল্লাম ৮ রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন।তাই ৮ রাকআত তাহাজ্জুদ আদায় করাই উত্তম।

তবে সম্ভব হলে সর্বোচ্চ ১২ রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যাবে। এছাড়াও ৪ রাকআত এবং সর্বনিম্ন ২ রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যাবে। আর এই নামাজের কোনো কাযা নেই।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত: 

তাহাজ্জুদ নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ত নেই। নির্দিষ্ট শব্দগুচ্ছ উচ্চারণের মাধ্যমে এর নিয়ত করা বাধ্যতামূলক নয়।

শুধু নামাজ আদায়ের পূর্বে মনে মনে বলতে হবে যে “আমি দুই রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের নিয়ত করছি” অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামাজ শুরু করতে হবে। 

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

দুই দুই রাকআত করে ৮ বা ১২ রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়।

যেভাবে দুই রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়: 

  • প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধতে হবে। 
  • অতঃপর ছানা এবং সুরা ফাতেহা পড়তে হবে। 
  • অন্য সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়তে হবে। 
  • অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদাহ করে প্রথম রাকআত আদায় করতে হবে। 
  • অনুরূপভাবে দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে। 

উক্ত নিয়মে দুই রাকআত অথবা দুই রাকআত করে ৪,৮,১২ রাকআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়। 

আমাদের প্রিয়নবী (স.) যথাসম্ভব লম্বা কেরাত,লম্বা রুকু ও সেজদার সঙ্গে একান্ত নিবিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। এজন্য লম্বা কেরাতের মাধ্যমে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজের প্রয়োজনীয় দোয়া: 

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় বেশ কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে আরও অধিক নেকি লাভ করা যায়। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য ওঠে আল-কুরআনের এ আয়াতসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। – (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

আয়াতটি নিম্নরূপ: 

রব্বানা মা খলাক্বতা হাজা বাত্বিলান, সুবহানাকা ফাক্বিনা আজাবান্নার। রব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিআই ইউনাদি লিল ইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না; রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্‌ফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরার।”

বাংলা অর্থ: “হে আমাদের প্রতিপালক! এসব কিছু তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। 

হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।”

এছাড়াও হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন, তখন নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন-

“আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকালহামদু।। লাকা মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু্।। ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।”

 (সহীহ বুখারি)

বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনারই,আপনিই আসমান-জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আসমান-জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনি আসমান-জমিনের নুর, আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের মালিক,আপনারই জন্য সব প্রশংসা।

আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চিরসত্য। (পরকালে )আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার বাণী সত্য। আপনার জান্নাত সত্য। আপনার জাহান্নাম সত্য। আপনার প্রেরিত নবিগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য। কেয়ামত সত্য।

হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার ওপর ঈমান আনলাম,আপনার ওপরই ভরসা করলাম, আপনার দিকেই রুজু করলাম, আপনার সন্তুষ্টির জন্যই শত্রুতায় লিপ্ত হলাম এবং আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বের ও পরের, প্রকাশ্য ও গোপন সব গুনাহ ক্ষমা করুন। আপনিই শুরু এবং আপনিই শেষ মালিক। আপনি ব্যতিত সত্য কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই অথবা আপনি ব্যতিত  অন্য কোনো উপাস্য নেই।” 

তাই আমাদের মুসলিমদের অবশ্যই এ দোয়াগুলো তাহাজ্জুদ নামাজের সময়ে পাঠ করা উচিত। যেনো আমরা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারি‌। 

নামাজ
Image by rawpixel.com

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত: 

আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।ফজিলত ও তাৎপর্যের দিক থেকে ফরজ নামাজের পরই এর স্থান।

যারা বিনা হিসেবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণির মানুষ হলেন তারা,যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন।

✓তাহাজ্জুদ বা রাতের নামাজকে এতো গুরুত্বপূর্ণ বলার কারণ হলো, রাতের শেষ অংশে মহান আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে নেমে মানুষকে নামাজের জন্য, তাঁকে ডাকার জন্য ও ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আহ্বান করেন। সুবহানাল্লাহ! 

এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

“প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করবো। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো।’ 

(বুখারি ও মুসলিম)

এজন্য আল্লাহ তাআলার নিকট কিছু চাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে তা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

✓আল- কোরআনের অনেক স্থানে আল্লাহ তাআলা তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। 

“আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।”

(সুরা বনি ইসরাঈল,আয়াত :৭৯)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি রাতের শেষাংশে জেগে আল্লাহর জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী করবেন এবং তাকে অধিক সম্মানে ভূষিত করবেন। 

✓প্রকৃত ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল-কোরআনে বলা হয়েছে, 

“তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী,অনুগত ব্যয়কারী ও রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থী” 

(সুরা আলে ইমরান: ১৭) 

এ থেকে বোঝা যায়, যারা রাতের শেষ ভাগে আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলে খাঁটি মনে ক্ষমা প্রার্থনা করে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। 

✓মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, 

“রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো মহররমের রোজা।আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।”

(মুসলিম: ১১৬৩)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

“আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি।  ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।”

(সুনানে আহমদ: ১১৬৭/২)

অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ। 

✓নবী করিম (সা.) বলেছেন,

 ‘আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। অতঃপর তার স্ত্রী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি (স্ত্রী) ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেন।”

(আবু দাউদ ও নাসাঈ)

এভাবে হাদিস শরিফে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিকে অধিক সম্মানের অধিকারী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। 

✓আল্লাহ তায়ালা বলেন,‘হে চাদর আবৃত, রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।’

(সূরা মুজাম্মিল,আয়াত:১-২) 

এখানে রাতের নামাজ বা তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। 

আমাদের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ওয়াসাল্লামের পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িসহ সব যুগের ওলি ও বিদ্বানরা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ আমাদের মন ও চরিত্রকে নির্মল ও পবিত্র করে। সত্যপথে অবিচল থাকতে পথ দেখায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়তা করে।

এই নামাজ এতোই মর্যাদাপূর্ণ যে, এ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির দোয়া বা চাওয়া-পাওয়া কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না। আল্লাহ তাআলা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন এবং তার দোয়া ও মনের আশা কবুল করেন। সুবহানাল্লাহ। 

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যথাযথভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের তাওফীক দান করুন। আমীন। 

Tag: তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, tahajjud namaz er niyot

Leave a Reply