জ্যামিতি বা Geometry শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ভূমি পরিমাপ’ । প্রায় আড়াই হাজার বৎসর পূর্বে ৩০০ খৃিষ্ট পূর্বাব্দে মিশরে ভূমি চিহ্নিত করার কাজে জ্যামিতি ব্যবহৃত হতো। মানুষ যখন থেকে আকার, আকৃতি, অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হল, তখন এসব জ্ঞান শৃক্মখলাবদ্ধ করে জ্যামিতি শাস্ত্রের উদ্ভব হল।
গ্রিক পণ্ডিত ও গণিতবিদ ইউক্লিড সর্বপ্রথম জ্যামিতির বিভিন্ন সূত্রকে সুবিন্যস্ত করে তাঁর ‘এলিমেন্টস’ (Elements) গ্রন্থের তের খণ্ডে জ্যামিতির ধারণা শ্রেণীবদ্ধ করেন। ‘এলিমেন্টস’ গ্রন্থটিই আধুনিক জ্যামিতির ভিত্তি।
সে যাইহোক, এই লেখাতে আজকে আমরা জানবো কোন কাকে বলে?, কোণের সংজ্ঞা ও কোন সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেই কোন কাকে বলে!
কোন কাকে বলে?
সমতলস্থ একই প্রান্তবিন্দুতে দুইটি স্বতন্ত্র রশ্মির মিলন স্থলে কোণ উৎপন্ন হয়। রশ্মিগুলোকে কোণের বাহু এবং প্রান্তবিন্দুকে কোণের শীর্ষ বলা হয়।
আরো সহজ করে বললে, দুইট রশ্মির মিলনের ফলে সমতলস্থ বিন্দুতে যে কোন উৎপন্ন হয় থাকেই কোন বলে।
ইউক্লিডীয় জ্যামিতিতে, একটি কোণ হল দুটি রশ্মির দ্বারা গঠিত চিত্র। রশ্মিরগুলিকে কোণের বাহু বলা হয়। দুটি রশ্মি দ্বারা গঠিত কোণগুলি সমতল কোণ হিসাবেও পরিচিত কারণ তারা রশ্মি ধারণ করে সমতলে থাকে।
কোন ইংরেজীতে Angle বলে পরিচিত।
বিষয়িটি আরো সহজ করে বুঝতে হলে নিচের চিত্রটি লক্ষ করুণঃ
উপরের চিত্রে OA এবং OB রশ্মির প্রান্তবিন্দু O তে উৎপন্ন কোণটিকে <AOB বা <BOA বা সংক্ষেপে <O দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
OA ও OB রশ্মি কোণটির বাহু এবং তাদের প্রান্তবিন্দু O কোণটির শীর্ষবিন্দু।
রিলেটেডঃ ইলুমিনাতি কি? ইলুমিনাতি ইতিহাস ২০২৩
কোণের অভ্যন্তর ও বহির্ভাগ
কোণের অভ্যন্তর ও বহির্ভাগ লক্ষ করুন। অভ্যন্তর ভাগে যে কোন দুইটি বিন্দুকে যোগ করলে তাদের সংযোজক রেখা অভ্যন্তর ভাগেই অবস্থান করবে। যেমন C ও D বিন্দু । কিন্তু বহির্ভাগের যে কোন দুইটি বিন্দুকে যোগ করলে তাদের সংযোজক রেখা বহির্ভাগে থাকবে না । যেমন P ও Q বিন্দু।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখা কোন কাকে বলে ও কোন সম্পর্কে বিস্তারিত, যদি লেখাটা ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না, দেখা হবে আগামী লেখাতে। আজকের মতো এখানেই বিদায়।