গ্লোয়িং স্কিন, সোজা বাংলায় উজ্জ্বল ত্বক প্রতিটা বাঙালি মেয়ের স্বপ্ন! যদিও কবি সাহিত্যিকরা শ্যাম বর্না মেয়ের মুখের আর চোখের বর্ণনা করতে গিয়ে রচনা করেছেন শত শত মহাকাব্য, তবুও ভুক্তভোগীরা কেবল জানেন ,গায়ের রঙ ফর্সা না হলে কতটা অবহেলিত আর তিরষ্কারের বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে হয়!
কথায় আছে, সুন্দর ফর্সা হয়, সুন্দর কালো হয়! তবে আধুনিক যুগে এসে আমরা সবাই কমবেশি চাই নিজেদের চাপা গায়ের রঙ যদি রাতারাতি কিছুটা উজ্জ্বল করা যায়।
যাই হোক-আপনার গায়ের রঙ কি যথেষ্ট ফর্সা নয়? আপনি কি আপনার গায়ের রঙ, বিশেষ করে আপনার মুখটা কিভাবে ফর্সা করবেন সেটা ভাবছেন? আপনি তাহলে একেবারে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের আজকের সেশনে আমরা আলোচনা করবো মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো।
তো চলুন শুরু করা যাক-
মুখের উজ্জ্বলতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অনেকেই ভাবতে পারেন,আমি যেভাবে আছি সেটাই ওকে। কেন আমার মুখের উজ্জ্বলতা আমাকে বাড়াতে হবে! হ্যাঁ এটা ঠিক মানুষের বাহ্যিক রঙ দিয়ে কিছু যায় আসে না৷ কিন্তু তবুও দিন শেষে ওই যে কথা একটাই-সবারই উচিত নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া! আর মুখ যেহেতু শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ, তাই এটাকেই কিছুটা উজ্জ্বল, ফ্রেশ এবং গ্লোয়িং করাটা একেবারে হেসে উড়িয়ে দেওয়া অনুচিত!
- মুখের ত্বক উজ্জ্বল করা মানে, আপনার কনফিডেন্স লেভেল বেড়ে যাওয়া। যদিও এটা খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ নয় সবার জন্য৷ কিন্তু আপনার গায়ের রঙ যেমনই হোক,মুখের যত্ন নিয়ে এটাকে উজ্জ্বল বানালে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই আপনার মধ্যে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করবে।
- মুখের ত্বক যত উজ্জ্বল হবে, ততই আপনার বয়স কম দেখাবে। ডাল বা বিবর্ণ মুখের ত্বক সহজেই মুখে ডেড সেল, বা মৃত কোষ এর বাসা বাধে, যার ফলে বয়সের তুলনায় মুখের ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পরে যায়।আপনি যখনই মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য এর যত্ন নেওয়া শুরু করবেন, আপনার মুখের ত্বকে নতুন কোষ জেনারেট হবে।মুখে বলিরেখা দেরীতে পরবে।
- ভবিষ্যৎ এর জন্য ভালো। কারন বিবর্ণ ত্বকে রোগ জীবাণু বাসা বাধে বেশি। আর যখনই এই ত্বক কে আরো উজ্জ্বল করার জন্য আপনি যত্ন নেয়া শুরু করবেন, মুখের ত্বক থাকবে রোগ জীবানুমুক্ত এবং একেবারে প্রাণবন্ত।
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়ঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
ইদানীং বাজারে অনেক প্রোডাক্ট পাওয়া যায় মুখের ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য। বিশেষ করে কোরিয়ান প্রোডাক্ট গুলো তো দুনিয়াজুড়ে বেশ সোরগোল ফেলে দিচ্ছে মুখের ত্বক উজ্জ্বল এবং গ্লসি করার জন্য। এমনকি মেলানিন (গায়ের রঙ কালো হওয়ার জন্য দায়ী উপাদান) কন্ট্রোল করার সাবান, ইনজেকশন, সাপ্লিমেন্টারী ও পাওয়া যাচ্ছে কোরিয়া, জাপান এবং চীন দেশে।
এইসব প্রোডাক্ট কতটা আপনাকে উজ্জ্বল করবে সে আলোচনায় আমরা আজকে আর যাবোনা। আমরা আজকে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর বেশ কিছু ন্যাচারাল উপায় আপনাদের জানাবো।
১। এলোভেরা অথবা ঘৃতকুমারীঃ
এলোভেরা যে কোন ইনফ্ল্যামেশন সারাতে সাহায্য করে। যেমন আপনার মুখের ত্বকে ব্রণ বা র্যাশ রয়েছে, এলোভেরা এগুলো সারাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এলোভেরা নিয়মিত মুখে মাখলে মুখে নতুন কোষের বৃদ্ধি ঘটে।এলোভেরা মুখে একটা সুদিং ইফেক্ট দেয়, মুখের ত্বককে হাইড্রেট করে পাশাপাশি মুখের পোর বা চামড়ার ওপেনিং গুলো ছোট করে। প্রতিদিন এলোভেরা জেল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। কিছুদিন বাদেই খেয়াল করবেন আপনার মুখের চামড়া কেমন গ্লো করছে।তবে অনেকের এলোভেরা তে এলার্জি আছে, আপনার ও এলার্জি আছে কিনা তা আগে চেক করে নিবেন।
২। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুনঃ
SPF 15 অথবা এর উপরের পয়েন্টের সানস্ক্রিন ব্যাবহারে আপনার ত্বক সরাসরি সুর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে। আপনি হয়তো জানেন, সুর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আপনার ত্বকে ফটোএজিং প্রসেস হতে আলাদা এক সুরক্ষা দেয়। যার ফলে আপনার ত্বক বুড়িয়ে যাবে না, আপনার ত্বক মলিন হবে না, এবং আপনার ত্বক থাকবে গ্লোয়িং এবং প্রানোচ্ছল।
যাই হোক প্রতিদিন রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে নিবেন মুখে, গলায় এবং হাতে। যদি আকাশ মেঘলা থাকে তবুও সানস্ক্রিন মাখবেন।আকাশ যতই মেঘলা থাকুক, সুর্য থেকে আসা আলোতে ক্ষতিকর ইউবি রশ্মি থাকবেই। এইজন্য প্রতিদিনই সানস্ক্রিন মাখবেন।
রিলেটেডঃ লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম এবং লবঙ্গের ব্যবহার
৩। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের পোর গুলো ছোট হয়, কোষের ফাকে ফাকে আদ্রতা জমা হয়। এছাড়াও ময়েশ্চারাইজার এ থাকে এন্টিওক্সিডেন্ট। এই এন্টিওক্সিডেন্ট মুখের গ্লোয়িং বাড়ায়, ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল কে আবদ্ধ করে ত্বক কে করে সজীব এবং ইয়ং। গোছল করে বের হবার পরপরই মুখে
ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। কারন মুখ যখন ভেজা থাকে, তখন ময়েশ্চারাইজার লাগালে মুখে বেশী পরিমাণ আদ্রতা জমা হয়, এবং মুখের ত্বকের ত্বককে কতে স্মুথ,মসৃণ এবং মোলায়েম।
৪। মুখে ঠান্ডা পানি ব্যাবহার করুনঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকে স্টিম বাথ নেন।এটা ঠিক, স্টীম এবং গরম পানি ত্বকের পোর ওপেন করে ত্বক পরিস্কার করতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি এবং বাষ্প মুখের লোমকূপ এর টক্সিন রিমুভ করার পাশাপাশি মুখকে মলিন এবং ক্লান্ত করে দেয়। তাই মুখে গরম পানির ঝাপটা না দিয়ে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিন। বিশেষ করে হেভি মেকাপ ইউজ করার আগে মুখে বরফ ঘসে নিন। দেখবেন মুখের চামড়া কেমন গ্লো করবে এক মুহূর্তেই।.৫।হলুদের রস অথবা পাউডার খানঃ
অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি প্রাচীন ভারতীয় সুন্দরীরা তাদের রূপচর্চার অন্যতম উপাদান হিসেবে হলুদ কে তাদের লিস্টে অবশ্যই রাখতো। কাচা হলুদ এর রস সকাল বেলা খেতে পারলে তা আপনার ফুল বডিকে ব্রাইট করবে।
আর যদি শুধু মুখের ত্বক উজ্জ্বল করতে চান, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ বাটা অথবা হলুদের পাউডার দিয়ে পেস্ট করে তা মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলবেন।প্রতিদিন এভাবে করলে আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল হবে। এটা একেবারে পরিক্ষিত ব্যাপার, আমি নিজেই এটা করে বেশ ভালো ফল পেয়েছি।
৫। পেট পরিস্কার রাখুনঃ
পেট যদি পরিষ্কার না থাকে, দ্যাট মিনস যদি আপনার হজমে গন্ডগোল থাকে তাহলে আর আপনার স্কিন ঠিক হবে না। যাদের হজমে সমস্যা, তাদের মুখে ব্রণ,র্যাশ, ইত্যাদি লেগেই থাকে। তাই পেট পরিস্কার রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। তাই আপনি ইসুবগুলের ভুষি, তোকমা দানা ইত্যাদি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন।
পাশাপাশি প্রচুর ফাইবার জাতীয় খাবার খাবার খাবেন। হজমের সমস্যা দুর হবে। এছাড়াও প্রোবায়োটিক এর নাম তো শুনেছেন নিশ্চয়ই৷ প্রোবায়োটিক খেতে পারেন দধি হিসেবে অথবা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে৷ যেভাবেই খান না কেন প্রোবায়োটিক খেলে শরীরের অভ্যন্তরে টক্সিন রিমুভ হবে, হজম তড়ান্মিত হবে, 0 আপনার চুল এবং ত্বক অনেক গ্লো করবে।
৬। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খানঃ
নারকেল,মাছের তেল, অলিভ অয়েল, জলপাই, বাদাম, কিসমিস এসব খাবার বেশী খাবেন শুধু ভিটামিন ই যুক্ত খাবার ই নয়, আপনার খাবার লিস্টে শস্যবীজাদি যেমন চিয়াসিড, কুমরো বিজ এসব রাখবেন। বাদাম এবং নারকেল প্রতিদিন খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, এবং টানটান হয়। আর ভিটামিন ই ত্বকে আলাদা পুষ্টি যোগায়,ত্বক কে করে সুন্দর এবং এভারগ্রীন।
৭। ডিম দুধ খাবেনঃ
প্রতিদিন সকালে একটা করে সেদ্ধ ডিম খাবেন। আর রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খাবেন। ডিম এবং দুধ হচ্ছে সুষম খাবার। আপনি এই খাবার গুলো যখন খাবেন, তখন এমনিতেই আপনার স্কীন তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে,যার ফলে স্কীন নিজে নিজেই গ্লো করবে।
এটা জানেন তো শরীর যখন সুস্থ থাকে চেহারায় তার ছাপ পরে? তেমনি ত্বকের ক্ষেত্রেও সেইম। সে নিজে যখন ভালো থাকবে তখন আপনার মুখ, চুল সব অটোমেটিক গ্লো করবে।
৮। মুখে মাখুন ঘরোয়া টোটকাঃ
শসা, মধু, লেবু, হলুদ, এলোভেরা- ইত্যাদি মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরোয়া টোটকা। পরিমান যদি জানতে চান, তাহলে এক টেবিল চামচ শসা বাটা+ এক চামন মধু+ হাফ চামচ লেবুর রস+ হাফ চামচ হলুদ বাটা+ হাফ চামচ এলোভেরা জেল-ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করুন। গোছলে যাওয়ার আগে মুখে, গলায় মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু তিন বার এভাবে এই টোটকা মাখুন, নিজেই টের পাবেন স্কীন কতটা গ্লো করে।
অনেকে মশুর ডাল বাটাও লাগান মুখে, যাই লাগান আপনার স্কীন এর ধরন বুঝে লাগাবেন। পসিবল হলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিবেন। অয়েলি স্কিনে আলাদা অয়েল লাগানোর দরকার নাই।
আর যদি ত্বক শুস্ক হয়, তাহকে যখন ঘরে ফেসপ্যাক বানাবেন অবশ্যই তাতে আলাদা তেল মিশিয়ে নিবেন। আর শুস্ক ত্বকের যারা আছেন, অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে মুখে নারকেল তেল মেখে ঘুমাবেন।নারকেল তেল মুখের রঙ ব্রাইট করে।
উপসংহার
পরিশেষে,আপনার ত্বক এর উজ্জ্বলতা বাড়াতে আসলে তেমন অতিরঞ্জিত কিছুই করতে হবে না। আপনি শুধু নিয়মিত হেলদি খাবার খাবেন,প্রচুর পানি পান পারবেন, পাশাপাশি পরিমিতভাবে ঘুম দিবেন।আর উপরে আমরা যে কয়টা সহজ ট্রিপস এর কথা বললাম, এগুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।
মনে রাখবেন, উজ্জ্বল ত্বকের মুল রহস্যই হচ্ছে আপনার শরীর ও মন ফুরফুরে রাখা। তাই চেস্টা করুন সকল ধরনের স্ট্রেস এড়িয়ে যেতে-একটা হেলদি লাইফস্টাইল ফলো করতে।
তো আর কি? এই হলো মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সহজ কিছু উপায়। আশা করি আমাদের আজজের সেশন আপনাদের ভালো লেগেছে।
সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
মুখের ত্বক কি ফর্সা করা যায়?
সত্যি কথা বলতে কি মুখের ত্বকের রঙ কখনো আপনি এক বা দু সেড পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারন ত্বকের রঙ নির্ধারিত হয় মেলানিন এর দ্বারা৷এই মেলানিন ত্বকের উপর থেকে আপনি কমাতে পারবেন না৷ আর এটা কমাতে গেলেও ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ যাই হোক তবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর বেশ কিছু ন্যাচারাল উপায় আছে,যা ফলো করলে আপনি ও পেতে পারেন উজ্জ্বল এবং সজীব ত্বক।
ভিটামিন সি কি ত্বকের রঙ গ্লো করে?
হ্যা ভিটামিন সি ত্বকের রঙ ব্রাইট করাতে সাহায্যে করে। ভিটামিন সি ত্বকের যে কোন খোস পাচড়া দুর করে, মেলানিন এর কার্যকরীতা কমায়,এবং মুখের ডার্ক স্পট কমাতে সাহায্যে করে৷ এ ছাড়াও এই ভিটামিন ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন কন্ট্রোল এ আনে।
কোরিয়ান দের মত সাদা স্কীন কিভাবে করা যায়?
কোরিয়ান বহু প্রোডাক্ট আছে, যারা দাবি করে কোরিয়ান দের মত সাদা স্কীন বানায় দিবে৷ যাই হোক, কিছু ন্যাচারাল টোটকা-যেমন, চালের আটা এবং এলো ভেরা মাস্ক ইউজ করে, ফার্মেন্টেটেড চালের পানি, গ্রীন টি মাস্ক, লেবু এবং স্ট্রবেরি মাস্ক ইত্যাদি ইউজ করলে কোরিয়ান দের মত সাদা চামড়া পাওয়া যায়। এছাড়াও কোরিয়ান বিভিন্ন সাবান,সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়-যেগুলো ফুল বডি ব্রাইট করে।
কোন ভিটামিন মুখের ত্বকের জন্য বেস্ট?
ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই। এই তিনটা ভিটামিন ত্বকের জন্য খুব ভালো। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে এইসব ভিটামিন খাবেন, আপনার ত্বক সুস্থ এবং সবল দেখাবে।।পাশাপাশি ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও খাবেন পর্যাপ্ত পরিমানে।
কোন ধরনের ফল ত্বকের জন্য ভালো?
সকল ধরনের ফলই ত্বকের জন্য ভালো। আপনার যদি পার্টিকুলার কোন ফলের প্রতি এলারতজি না থাকে, আপনি সকল ফলই খেতে পারেন। যাই হোক,কমলা, আপেল, লেবু, তরমুজ, কাঠাল, আনারস, পেপে, আপেল, পেয়ারা, কলা ইত্যাদি বেশি করে খাবেন। আর যে কোন ফল খাওয়ার পরে মুখে তার খোসা ঘসে নিবেন। এতে মুখের ত্বকে একটা আলাদা সতেজতা পাবেন।