সত্যি বলতে খুশকি দূর করার উপায় আপনি হাতের নাগালেই পাবেন। এই সব উপায়ের মধ্যে বিভিন্ন ঘরে বানানো টোটকা, এন্টি ফাংগাল শ্যাম্পু ইত্যাদি বহুল প্রচলিত।
তবে খুশকি দুর করার জন্য বাজারে যে প্রচলিত শ্যম্পু বা অন্যান্য প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, সেগুলো ট্রাই করার আগে আপনার উচিত হবে ঘরোয়া টোটকা গুলো ট্রাই করা।
প্রিয় পাঠক, আপনি কি আপনার মাথার খুশকি নিয়ে খুবই বিব্রত অবস্থায় আছেন? এই বিব্রত অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হন্য হয়ে কোন উপায় খুঁজছেন? আপনি তাহলে একবারে ঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা আজকে আলোচনা করবো মেয়েদের মাথার খুশকি দূর করার উপায়গুলো নিয়ে।
তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
খুশকি কি?
যে কোন সমস্যা সমাধান এর প্রথম এবং মুল ধাপ হচ্ছে সেই সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানা। হ্যা, সন্দেহ নেই খুসকি আমাদের জন্য কত বড় একটা সমস্যা।
তো খুশকি আসলে কি? কেনই বা খুশকি নামক জঞ্জাল আমাদের মাথায় উড়ে এসে জুড়ে বসে?
খুশকি মুলত আমাদের মাথার তালুতে থাকা চামড়া থেকে উৎপন্য হয়। তালুতে থাকা তেল গ্রন্থি থেকে নি:সৃত হওয়া তেল আবার চামড়াতে থাকা কোষ গুলোকেই একে অপরের সাথে মিলিয়ে এক ধরনের কলোনি বা মরা চামড়ার মত সাদা আঁইশ এর আস্তরণ তৈরী করে।
এই মরা চামড়ার মত সাদা ভাঙা ভাঙা আস্তরণ কেই খুশকি বলা হয়।
মেয়েদের খুশকি কেন হয়?
খুশকি আসলে বিভিন্ন কারনে হতে পারে। প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য কারন গুলো নিচে বর্ণনা করা হচ্ছে-
- খুশকি হওয়ার প্রধান কারন হচ্ছে malassezia নামক ফাংগাস। এই ফাংগাস গুলো মাথার তালুতে থাকা তেল খাবার হিসেবে গ্রহন করে এবং খুশকি হতে সাহায্য করে।
- চামড়া বা ত্বকের প্রকারভেদ ও খুশকি হতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক অথবা শুস্ক ত্বক দুটাই খুশকি হওয়ার জন্য দ্বায়ী।
- চুলের বিভিন্ন প্রোডাক্ট। চুলের এই প্রোডাক্ট গুলো নানারকম কেমিকেল দিয়ে বানানো। তাই কারো যদি সেনসিটিভ ত্বক হয়ে থাকে, তাহলে এইসব কেমিকেল ব্যবহারের দরুন ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খুশকির কারন হতে পারে।
- সেবোরিক ডারমাটাইটিস অথবা একজিমা নামক ত্বকের সমস্যার জন্যও খুশকি হতে পারে।
- যদি আপনার ত্বকের এলার্জিক রেস্পন্স অনেক বেশী হয়ে থাকে। এটা আসলে হয় বিভিন্ন চুলের প্রোডাক্ট এর কারনে। আপনি এমন কিছু চুলে অথবা মাথার তালুতে ব্যবহার করলেন যেটাতে আপনার এলার্জি আছে,তখন আপনার মাথায় খুশকি হতে পারে।
রিলেটেডঃ ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা, এবং খাওয়ার নিয়ম
মেয়েদের মাথার খুশকি দুর করা জরুরী কেন?
যাদের মাথায় খুশকি আছে তারা নিশচয়ই জানেন এর জ্বালা কত মারাত্মক। শুধু যে দুকাধের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে মান ইজ্জত এর বারটা বাজায় তা কিন্তু না। অতিরিক্ত খুশকি মাথায় থাকলে মাথা প্রচুর চুলকায়, মাথায় ময়লা হয় বেশি এবং সিরিয়াস কেস এ মাথার চামড়া চুলকাতে চুলকাতে মাথায় খোস পাছড়া পর্যন্ত হয়ে যায়।
যাই হোক, খুশকির প্রধান সমস্যা হচ্ছে এটা কিছুটা স্বাস্থ্য ঝুকির কারন হতে পারে। এইসব স্বাস্থ্য ঝুকি বলতে চুল পরে যাওয়া, মাথার তালুতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হওয়া, চুলকানির উদ্রেক করা ইত্যাদি।এছাড়াও খুশকির দরুন বিভিন্ন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতেও মানুষজন পরতে পারে।
তো এই বিভিন্ন সমস্যা গুলো যেন না থাকে এ জন্যই আসলে খুশকি দুর করার দরকার। ব্যাপারটা কেমন না? আপনি কালো ব্লেজার পরে পার্টিতে গেলেন, আর আপনার ব্লেজারের সোল্ডার অংশে খুশকির প্রলেপ পরে আছে, মানুষজন কিভাবে তাকাবে আপনার দিকে একবার ভাবেন তো?
রিলেটেডঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা এবং অপকারিতা
খুশকি দূর করার উপায়
খুশকি দুর করা অনেকটা যন্ত্রনার কারন হয়ে যায় বিশেষ করে শীত সিজনে। এছাড়াও যাদের ত্বকের এলার্জি বেশি, তাদের জন্যও ব্যাপারটা জটিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, মোটামুটি ৪২% শিশুদের ( কিশোর সহ) এবং ১-৩% বয়স্ক ( এডাল্ট) মানুষ দের খুশকি আক্রান্ত হওয়ার পার্সেন্টেজ পুরো দুনিয়া জুড়ে।
তো, খুশকি দুর করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটা স্বাস্থ্যকর স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। আপনি যদি আপনার চুল এবং মাথার তালু পরিস্কার রাখেন, দেখবেন খুশকির যন্ত্রনা অনেকটাই কমে এসেছে। এরপরে রইলো বিভিন্ন ঘরে না বানানো টোটকা অথবা বাজারে পাওয়া খুশকী দুর করার দ্রব্য গুলো।
যাই হোক, নিচে চলুন খুশকি দুর করার সবচাইতে সহজ, এবং কাজের উপায় গুলো দেখে নিই চটজলদি করে-
এলোভেরা:
ত্বকের যত্নে এলোভেরার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। এলোভেরার থলথলে জেলির মতন গঠন এটাকে খুব কার্যকরী এক উপাদান হিসেবে করে তুলেছে বিভিন্ন ত্বক রিলেটেড ইস্যুতে।
এলোভেরা তে থাকা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এন্টিফাংগাল উপাদান সহজেই মাথার তালুতে থাকা খুশকীর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
এলোভেরা বেশ কিছু ফাংগাস এর প্রজাতির বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে, খুশকির জন্য দ্বায়ী বিশেষ প্রজাতির ফাংগাস তার মধ্যে অন্যতম।
এছাড়াও এলোভেরা ত্বকের প্রদাহ, খোস পাছড়া ইত্যাদি নির্মুলেও ভালো ফলাফল দেয়।
আপেল সাইডার ভিনেগার:
ইদানিংকাল ডায়েট সচেতন মানুষের ডায়েট লিস্টের অন্যতম উপাদান টি হচ্ছে আপেল সাইডার ভিনেগার।পেট পরিস্কার রাখতে, পেট থেকে টক্সিন রিমুভ করতে এই ভিনেগার এর ভুমিকা অপরিসীম।
যাই হোক, এই ভিনেগার এর আরো অনেক ভালো ভালো ভুমিকা রয়েছে। মাথার তালুতে থাকা মৃত কোষের আস্তরণ রোধে এই ভিনেগার কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকের pH লেভেল কন্ট্রোল করে, এবং ত্বকে যে কোন ধরনের ফাংগাস বৃদ্ধিতে বাধা প্রধান করে। যার ফলে মাথায় খুশকি নির্মুল হয়।
স্যালিসাইলিক এসিড/ এস্পিরিন:
ভাবছেন এস্পিরিন কিভাবে মাথার খুশকি কমায়? এটাতো মাথার ব্যাথাকে কমায়! আজব লাগলেও এটা সত্যি এসপিরিনে থাকা স্যালিসাইলিক এসিড মাথার তালুতে থাকা যে কোন প্রদাহ কমাতে সাহায্যে করে। এজন্য খেয়াল করবেন যে কোন এন্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পুর অন্যতম উপাদান হচ্ছে এই এস্পিরিন।
ভালো ফলাফল পেতে, দুটা এস্পিরিন ট্যাবলেট পাউডার করে মেয়েদের মাথার খুশকি দূর করার শ্যাম্পুতে মিশিয়ে নিন। এবার চুল এবং মাথার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করে ধুয়ে ফেলুন।
এসিপিরিনে থাকা স্যালিসাইলিক এসিড খুশকি, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস ইত্যাদি দুর করতে ব্যবহার করা হয়।
বেকিং সোডা:
বেকিং সোডা ত্বকের মৃত কোষ নির্মুল করে পাশাপাশি এটি চুলকানো এবং ফুলে যাওয়া ভাব ও কমায়।বেকিং সোডা ঘরোয়া এন্টি ফাংগাল হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ অনেক আগে থেকেই।
বেকিং সোডা দিয়ে গোছল( অবশ্যই এক্সপার্ট এর সাজেশন নিয়ে নিবেন) করার পরে সোরিয়াসিস, খুশকি এবং ত্বকের অনেক ধরনের ফাংগাল সমস্যা কেটে যায়।
ভালো রেজাল্টের জন্য ভেজা চুলে সরাসরি বেকিং সোডা এপ্লাই করুন।বিশেষ করে মাথার চামড়াতে ভালো করে বেকিং সোডা মাখাবেন।এভাবে মাখানোর পরে দুই তিন মিনিট অপেক্ষা করে চুল ভালো করে শ্যম্পু করে নিবেন।
কাচা মেহেদী পেস্ট:
চুলের যত্নে মেহেদি খুব কমন একটা নাম। মেহেদির পাতা চুল কে নরম করে, চুলের স্বাস্থ্যর যত্ন নেয় এবং পাশাপাশি মাথার ত্বকের বিভিন্ন জটিলতা ও দুর করে।
তবে আপনি সরাসরি মেহেদির পেস্ট চুলে লাগালে আপনার মাথার খুশকি কমবে না। মেহেদি বাটা দিয়ে খুশকি দুর করতে হলে আগে ওই মেহেদি কে বিশেষ উপায়ে প্রস্তুত করতে হবে।
প্রথমেই একটা পাত্রে মেহেদি বাটা নিন।এই মেহেদি বাটার সাথে মেশান লেবু, টক দই, এবং সামান্য নারকেল তেল। এবার এটাকে ভালো করে মিশিয়ে রেখে দিন ৫-৬ ঘন্টার জন্য। যখন মেহেদি পাতা পেস্ট থেকে লাল রঙ ছাড়ক শুরু করবে, আপনি এটা আপনার চুল এবং মাথায় ভালো করে লাগাবেন।
লাগানো হয়ে গেলে এটা মাথায় ভালো করে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।সবার শেষে, চুল সামান্য গরম পানিতে ধুয়ে নিন।এভাবে টানা কয়েক মাস মেহেদি বাটা ব্যবহার করুন।ফলাফল নিজেই দেখবেন!
রিলেটেডঃ ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
নারকেল তেল, আমলকি এবং জবা ফুল:
একটা পাত্র চুলায় গরম হতে দিন। এরপর এটাতে ছেড়ে দিন কয়েকটা আমলকি এবং জবা ফুল। মিনিট কয়েক এই তেল ফুটানোর পরে এটাক নামিয়ে ছেকে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে এটাতে মিশান কয়েক ফোটা লেবুর রস।
এই মিশ্রন টি চুলে লাগালে এটি এন্টি ফাংগাল হিসেবে কাজ করে এবং চুলের খুশকি দুর করে। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, ঘরোয়া সমস্ত টোটকাতেই ভালো ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে। তাই এসব ব্যবহার করতে গেলে কিছুটা ধৈর্য্য ও ধরতে হয়।
নিম পাতার পেস্ট:
ছোট বেলায় দেখতাম নানি দাদীরা খোস পাছড়া হলেই নিম পাতা বেটে লাগিতে দিতেন। নিম পাতা খুশকি দুর করার জন্য এবং চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য সুপ্রসিদ্ধ।
তো নিম পাত দিয়ে খুশকি সাড়ানোর জন্য প্রথমেই কয়েকটা নিম পাতা বেটে নিন। ভালো ফলাফল পেতে এটাতে মিশান টক দধি, লেবুর রস, এবং সামান্য নারকেল তেল। এবার মাথার সর্বোত্র লাগিয়ে নিন এই নিম পাতার পেস্ট। মিনিট দশেক অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
লেবু এবং কমলার মিশ্রন:
লেবু এবং কমলাতে থাকা সাইট্রিক এসিড খুশকি সাড়ায়। একসাথে কমলার চামড়া এবং লেবুর চামড়ার পেস্ট করে নিন। চাইলে সাথে দিতে পারেন লেবুর রস এবং কমলার রস। এইবার এটা মাথায়,চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট চুপচাপ বসে থাকুন।
৩০ মিনিট বাদে, চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকবার ব্যাবহার করেই ফলাফল পাওয়া আরম্ভ করবেন।
গ্রীন টি:
গ্রীন টি অথবা বাজারে প্রচলিত লাল চায়ের পাতি, দুটোই খুশকি সাড়ায়। সবুজ চায়ে প্রচুর এন্টি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার দরুন মাথার ত্বক থেকে সব ধরনের ফাংগাস রিলেটেড ঝামেলা দুর হয়।
গ্রীন টি মাথায় লাগানো ও খুব সহজ।জাস্ট, দুটো গ্রীন টি এর প্যাক ভালোভাবে পানিতে ফোটান। এরপর আরো ২০ মিনিট গরম পানিতেই টি ব্যাগ দুটোক রেখে দিন। গ্রীন টি যুক্ত গরম পানি ঠান্ডা হতে অপেক্ষা করুন, ঠান্ডা হয়ে গেলে চুলের সর্বোত্র এটা ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন। আবার ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবং চুল ধুয়ে ফেলুন।
মনে করুন উপরে দেওয়া কোন উপায়েই আপনার মাথার খুশকি যাচ্ছে না। তাহলে উপায়? তাহলে উপায় হচ্ছে আপনি একজন খুশকি এক্সপার্ট এর শরণাপন্ন হবেন এবং তার সাজেশন অনুযায়ী শ্যাম্পু বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন। এন্টি ড্যান্ড্রাফ শ্যম্পু গুলো বেশীর ভাগই প্রেশক্রিপশন ছাড়া কেনা যায়।
এবং এসব শ্যম্পুর সাথে থাকা লিফলেট এ ব্যাবহার বিধি খুব বিস্তারিত লিখা থাকে। আপনি ২-৩ সপ্তাহ এরকম একটা এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।এতেও যদি কাজ না হয়, স্কিন কেয়ার স্পেশালিষ্ট এর সাথে অতিসত্তর যোগাযোগ করুন।
রিলেটেডঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
উপসংহার:
এটা সন্দেহ নেই, খুশকি দুর করা আসলেই খুব ধৈর্য্য এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।মাঝেমধ্যে যখন খুশকির মাত্রা বেশি হয়ে যায়-খুশকি সমুলে দুর করা তখন আসলে কঠিন হয়ে পরে।
যাই হোক, যেহেতু আমরা এখানে অনেকগুলো খুশকি দুর করার উপায় বর্ণনা করেছি, কাজেই আপনিও এখান থেকে কয়েকটা উপায় সিলেক্ট করুন, এবং আপনার মাথায় এপ্লাই করে দেখুন কি ফলাফল পান।
যদি ১-২ মাস এসব ঘরোয়া টোটকা ব্যাবহারে ও আপনার খুশকি না কমে, অবশ্যই একজন ডার্মাটলোজিস্ট কে ভিজিট করে বিস্তারিত পরামর্শ নিবেন।
ধন্যবাদ।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
কেন আমার এত খুশকি হয়?
খুশকি বেশি হওয়ার অনেক কারন রয়েছে।আপনি ভালোভাবে খেয়াল করুন আপনার ত্বক কি অতিরিক্ত তৈলাক্ত অথবা অতিরিক্ত শুষ্ক কিনা। এছাড়াও আপনার কোন এলার্জিক সমস্যা আছে কিনা সেটা দেখাও জরুরী। ম্যালাসেজিয়া নামক ফাংগাস মাথায় বেশী থাকলেও খুশকির আক্রমন বেশি হতে পারে।
খুশকির আক্রমনে কি চুল পরতে পারে?
হ্যা পারে। অতিরিক্ত খুশকি হলে মাথার ত্বকে প্রদাহ হয়, যার ফলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পরা বৃদ্ধি পায়।তবে অল্প খুশকি,অথবা প্রদাহ ছাড়া খুশকিতে সাধারনত চুল পরে না।
কিভাবে খুশকি দুর করা যায়?
প্রথমেই বলব সবসময় পরিস্কার থাকার অভ্যাস করুন।চুল নিয়মিত শ্যাম্পু করবেন, রাতে ভালো ঘুম দিবেন, সারাদিনে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা পাওয়া যায় খুশকি দুর করতে, সেগুলো ট্রাই করবেন। এরপরেও যদি খুশকি না কমে অবশ্যই একজন ডার্মাটলোজিসট এর শরণাপন্ন হবেন।